স্বামী ব্রুস উইলসের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার এবং রাস্তাঘাটে তাকে দেখে চিৎকার না করার জন্য পাপারাজ্জিদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন স্ত্রী এমা হেমিং উইলস। সোমবার সিএনএন জানায়, নিজের ইনস্টাগ্রাম পেইজে শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় এ নিয়ে একটি আবেগঘন বক্তব্য তুলে ধরেন হেমিং। তিনি বলেন, ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) রোগে আক্রান্তদের নিয়ে আরও অনেক বেশি জানা–বোঝার দরকার আছে। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মোনিকায় সম্প্রতি এই ‘ডাই হার্ড’ তারকা এক বন্ধুর সঙ্গে কফি খেতে যাওয়ার পথে একজন আলোকচিত্রী কথা বলার চেষ্টা করেন। ওই ঘটনার সূত্র টেনে হেমিং বলেন, এ ধরনের একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে বাইরের পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে প্রস্তুত করে তোলা বেশ কঠিন। এই বার্তাটি ওইসব আলোকচিত্রী ও ভিডিও ধারণকারীদের জন্য, যারা আমার স্বামীর বক্তব্য ও তার অবস্থার তথ্যের ‘এক্সক্লুসিভ’ সূত্র হওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। শুধু এটুকুই চাওয়া, নিজেদের দূরত্বে রাখুন। আমি জানি এটাই আপনাদের পেশা, তারপরেও হয়ত দূরত্ব বজায় রাখবেন।
হেমিং বলেন, ভিডিও ধারণকারীদের জন্য বলছি, দয়া করে আমার স্বামীকে দেখে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করবেন না তিনি কেমন আছেন বা আর কিছু। তাকে একটু তার মতো থাকতে দিন।
ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে হেমিং উইলস লিখেছেন, বিশ্বের আর যারা সেবা দাতা বা ডিমেনশিয়া সেবা বিশেষজ্ঞ আছেন… এই পৃথিবীতে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে কীভাবে নিরাপদে চলাফেরা করতে সাহায্য করতে পারেন, সে বিষয়ে কোন উপদেশ দিতে পারেন? দয়া করে (ভিডিওটির) নিচে শেয়ার করুন।
বর্তমানে ৬৭ বছর বয়সী উইলস ২০০৯ সালে মডেল এমাকে বিয়ে করেন। তাদের দুটো মেয়ে আছে ম্যাবেল ও এভেলিন। ব্রুস উইলসের পরিবারের পক্ষ থেকে তার অসুস্থতার বিষয়টি জানানোর কয়েক সপ্তাহ পর হেমিং এই অনুরোধ জানিয়ে ভিডিও বার্তাটি দিলেন। এর আগে উইলস পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই হলিউড তারকা অ্যাফাশিয়ায় (কথা বলায় অসংলগ্নতা) ভুগছেন, যা এক ধরনের ডিমেনশিয়ায় রূপ নিচ্ছে। এই রোগকে ফ্র্রন্টোটেমপোরাল ডিমেনশিয়া বা সংক্ষেপে এফটিডি বলা হয়।
গত মাসে ব্রুসের পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানাতে অনলাইনে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে তার স্ত্রী বলেন, এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই, এমন এক বিরল রোগ। আমরা আশা করছি, আসন্ন বছরগুলোতে পরিস্থিতি বদলাবে। যেহেতু ব্রুসের অবস্থার অবনতি হচ্ছে, আমরা আশা করব যে এই রোগের বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে ও এর গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে।