ব্রিকসের উদ্যোগে স্থাপিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যোগ দেওয়ার চুক্তিতে অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ শীর্ষক চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ব্রিফিংয়ে বলেন, ২০১৪ সালে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক নামে নতুন ব্যাংক করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজার ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাণিজ্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা। আটটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এই ব্যাংকে অংশগ্রহণ করেছে। সেই চুক্তি অনুসমর্থন করার প্রয়োজন ছিল, আজ মন্ত্রিসভা ওই চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ব্রিকস শব্দটি ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকা– এই চারটি দেশের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গঠন হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই ব্রাজিলের ফোর্তালেজা শহরে এই চার দেশের প্রধানমন্ত্রীরা এক সভায় মিলিত হন। সেখানে ব্রিকস ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গঠনের ঘোষণা আসে। সে সময় বলা হয়েছিল, এসব দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক। পরে ভারতের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২১ সালের ২০ অগাস্ট এনডিবির বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় নতুন সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের যোগদান অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশই ব্রিকস জোটের বাইরের প্রথম দেশ, যারা এই ব্যাংকের সদস্যপদ পেয়েছে। মূল জোটে যোগ দেওয়ার জন্যও সমপ্রতি আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে বাংলাদেশ।












