চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শুভ সূচনা করেছে চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৪ রানে ঐতিহ্যবাহী রাইজিং স্টার ক্লাবকে পরাজিত করে। টসে জিতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। ওপেনার মো. ওবায়দুল্লাহ কোন রান করেই ফিরে যান। এরপর অপর ওপেনার মইনুল হোসেন এবং তিন নম্বরে খেলতে নামা প্রান্তিক নওরোজ জুটি বাঁধেন। এ জুটি ৪৬ রান জমা করে। কিন্তু মইনুল ২২ রান করে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। আরিফুল ইসলাম ক্রিজে এসে চার বল খেলে কোন রান করে আসাদুরের বলে তারই হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর ব্রাদার্স অধিনায়ক জাতীয় তারকা নাইম হাসান যোগ দেন। তবে তিনিও প্রান্তিক নওরোজকে যোগ্য সহযোগিতা দিতে পারেননি। মাত্র ১ রান করে নিশীতের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এসময় ব্রাদার্সের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান। ৫ম উইকেট জুটিতে রতন দাশ এবং প্রান্তিক ৩৯ রান যোগ করেন। রতন ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ক্যাচ আউটের শিকার হলে মেহরাব হাসান জুটি বাঁধেন প্রান্তিকের সাথে। এ জুটি ৩৮ রান জমা করলে শতরানের কোঠা পার হতে সমর্থ হয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলীয় সংগ্রহ ১২৬ রানের মাথায় প্রান্তিক নওরোজ সর্বোচ্চ ৬১ রান সংগ্রহ করে সাইদুলের বলে রাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মেহরাব একদিকে লড়াই করছিলেন কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটাররা বেশি কিছু করতে পারেননি। ছোট ছোট জুটিতে স্কোর বোর্ডে কিছু রান যোগ করে মেহরাব যখন ফিরে যান তখন দলীয় সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৮২ রান। আর মেহরাবের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪১ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভার ব্যাট করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন অল আউট হয়ে যান সেই ১৮২ রানেই। বল হাতে রাইজিং স্টারের নিশীত কুমার ঘোষ এবং সাইদুল ইসলাম তুহিন ৩টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৪৬ এবং ২১ রান খরচ করে। এছাড়া আসাদুর রহমান ৩৭ রানে ২টি উইকেট পান। ১টি করে উইকেট শিকার করেন দেলওয়ার হোসেন এবং হেদায়েত উল্লাহ জিসান।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাইজিং স্টার ক্লাবের উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যায় দলীয় ৮ রানের মাথায়। শাহিদুল আলম ৮ রান করে রতন দাশের শিকারে পরিণত হন। এরপর সাইদুল ইসলাম এবং রাকিব হোসেন জুটি ২৫ রান করে বিচ্ছিন্ন হন। রাকিব ১৩ রান করেন। ৮ রান যোগ করে তৃতীয় উইকেট জুটিও ভেঙ্গে যায়। সাইদুল ১০ রান করে নাইম হাসানের বলে শিশিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। দলীয় ৫১ রানের সময় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে রাইজিং স্টারের। আসাদুর ১১ রান করে রাহাতুলের বলে মইনুলের হাতে ক্যাচ দেন। ৫ম উইকেট জুটিতে রাকিবুল ইসলাম এবং আরাফাত খান ৩৯ রান যোগ করলে দলীয় সংগ্রহ ৯০ রানে উন্নীত হয়। আরাফাত ১৪ রান করে ওবায়দুল্লাহর বলে এলবির শিকার হন। রাকিবুল ইসলাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যখন ফেরেন তখন দলীয় রান শতরানের কোঠা পার হয়ে যায়। ৭ উইকেটে ১০৩ রান করে রাইজিং স্টার। এরপর দ্রুতই দুটি উইকেটের পতন ঘটে তাদের। রানসংখ্যা তখন ৯ উইকেটে ১০৮। এসময় খেলতে নামেন নিশীথ কুমার। তার সর্বোচ্চ ৩৮ রান দলের পরাজয় রুখতে পারেনি,পেরেছে ব্যবধান কমাতে। দশম উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন নিশীথ-ওমর ফারুক জুটি। ওমর ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪৫.২ ওভারে ১৫৮ রানে থামে রাইজিং স্টার ক্লাব।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের রাহাতুল ফেরদৌস ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট দখল করেন। একই রান খরচায় নাইম হাসান পান ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন রতন দাশ,শাহরিয়ার মাহিন,সাখাওয়াত সাইমন এবং মো. ওবায়দুল্লাহ।
আজও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে একটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে খেলবে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব এবং শহীদ শাহজাহান সংঘ। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে।