২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা। ২–১ গোলে হারা ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন লিওনেল মেসি। এমনকি মেজাজ হারিয়ে মাঠেই রেফারির সঙ্গে একচোট বাকবিতন্ডাও হয়েছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। যদিও ম্যাচে শুরুটা দারুণ হয় আর্জেন্টিনার। একাদশ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজ লিড এনে দিয়েছিলেন আলবিসেলেস্তেদের। কিন্তু ১৯ মিনিটে আন্তোনিও সানাব্রিয়া দুর্দান্ত বাই সাইকেল কিকে গোল করে সফরকারীদের সমতায় ফেরান। গোল হজমের পর আর্জেন্টিনা ছন্দ হারায়। আক্রমণের ধার কমে আসে। রক্ষণের দুর্বলতা প্রকাশ্যে চলে আসে। এর ধারাবাহিকতায় বিরতির দুই মিনিট পরে তারা আরও এক গোল হজম করে। ফ্রি কিকের বল পেয়ে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার ওমর আলদেরেতে। প্যারাগুয়ের হুলিও এনকিসোকে আর্জেন্টিনার লিওনার্দো বালের্দি ফাউল করলে ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। দলের এমন বেহাল দশার দিনে মেসি ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে এজন্য প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ভূমিকাও কম নয়। পারাগুয়ের দ্বিতীয় গোল করা আলদেরেতে ৩৩ মিনিটে ফাউল করে একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। চার মিনিট পর মেসিকে ফাউল করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোর দাবি জানায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান রেফারি আন্দেরসন দারাঙ্কো তাতে কান দেননি। অথচ তখন লাল কার্ড দেখলে দ্বিতীয় গোলটি হয়তো হজম করতে হতো না আর্জেন্টিনাকে। প্রথমবার দাবি না মানায় একবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেসি। বিরতির সময় সতীর্থ নিকোলাস ওতামেন্দিকে নিয়ে আরও একবার রেফারির দিকে তর্জনি উঁচিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। পুরো ম্যাচেই মেসিকে বেশ কয়েকবার বাজে ট্যাকলের শিকার হতে হয়। শুধু কি তাই, গ্যালারিতে মেসির ১০ নম্বর জার্সি নিষিদ্ধ করেছিল প্যারাগুয়ে। ফলে মেসিকে ঘিরে যে ‘ক্রেজ‘ দেখা যায়, তা এই ম্যাচে অনেকটা অনুপস্থিত ছিল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রেফারিকে নিয়ে সমালোচনা করেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি বলেন রেফারি নিয়ে অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু সে সব অর্থহীন ও অজুহাত মনে হতে পারে। তাই এসব না বলাই ভালো, তাতে অজুহাত মনে হবে না এবং লোকেও এভাবে ভাববে না। মাঠে কী ঘটেছে আমরা সবাই দেখেছি। তবে ম্যাচের ফলাফলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। হারলেও ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা এখনও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে শীর্ষে আছে। ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে প্যারাগুয়ে। সমান পয়েন্ট আছে চারে থাকা উরুগুয়ে ও পাঁচে থাকা ইকুয়েডরেরও। শীর্ষ ছয় দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে।