ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি–জেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) একটি জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ২০ দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটভুক্ত অন্য দলগুলো হলো–জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবারপার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। খবর বিডিনিউজের।
এনডিএফ জোটের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধান সমন্বয়ক হয়েছেন জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মিলন এবং প্রধান মুখপাত্র রুহুল আমিন হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তর, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান আকাঙ্ক্ষার সমন্বয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্রসংস্কার, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মধ্যপন্থার উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বেগবান করা, ইসলামি মূল্যবোধ এবং সর্বধর্ম সমপ্রীতিতে বিশ্বাসী, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন, ফ্যাসিবাদের চির অবসান এবং সুশাসন প্রত্যাশী জনগণের ম্রিয়মাণ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করতে রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ আদর্শ ও স্বকীয়তা বজায় রেখে উপযুক্ত নীতিমালা এবং কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন ও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এর নাম হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। লিখিত বক্তব্যে এনডিএফ জোটের তরফে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়–১. অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী দুই মাসে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারে পরিণত হতে হবে। হয়রানিমূলক মামলা তুলে নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ২. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩. একটি ভয়হীন, নিরাপদ ও কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ৪. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ –যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে। ৬. স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দিতে হবে। ৭. দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।












