ব্যাপক যানজট,নগরে দুর্ভোগ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ব্যাপক যানজটে নগরী স্থবির হয়ে পড়ায় গতকাল হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর বেশিরভাগ এলাকা যানজটে কার্যত অচল ছিল। এতে আটকা পড়ে অনেকে ফ্লাইট মিস করেছেন। পায়ে হেঁটে গন্তব্যে গেছেন অনেকেই। সভা সমাবেশ এবং অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে সৃষ্ট যানজটে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে ওঠে। নগর পুলিশ বলেছে, স্থবিরতা কাটাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে।

গতকাল নগরীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইটি পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়। এতে নগরীর লালখান বাজার এবং ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যার জের ধরে নগরীর মুরাদপুর থেকে শুরু করে বন্দর, বারিকবিল্ডিং, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, আসকারদীঘির পাড়, জামালখান, স্টেডিয়াম এলাকাসহ পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে। মুরাদপুর ফ্লাইওভারেও সৃষ্টি হয় স্থবিরতা। বিকেল তিনটা থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের একাংশ দাবি দাওয়ার ব্যাপারে লালখান বাজারে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এতে এক পর্যায়ে ফ্লাইওভারের উপর দিয়েও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের অপরাংশের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় ষোলশহর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যান থেকে। তারা লালখান বাজারের দিকে আসার উদ্যোগ নিলেও পুলিশ তাদের ঘুরিয়ে দেয়। পরে তারা কাজীর দেউড়িতে গিয়ে সমাবেশ করে। এর পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী লালদীঘি মাঠে বিশাল এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে মানুষ ঘরে ফেরার সময় যানজট আরো তীব্র হয়ে ওঠে। কর্মসূচিগুলোকে ঘিরে হাজার হাজার গাড়ির জটলায় নগরীর ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো কার্যতঃ স্থবির হয়ে পড়ে।

নগর পুলিশ বলেছে, ষোলশহর এবং লালখানবাজারে সমাবেশ এবং অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নানাভাবে চেষ্টা করেও যানজট সামাল দিতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে বলে স্বীকার করে নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রাত ৯টা নাগাদ ছাত্ররা সরে যাওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে ঢাকা আইসিডিমুখী কন্টেনারের পাহাড়
পরবর্তী নিবন্ধনগরে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ আসামি গ্রেপ্তার