তামিমের বাবা ইকবাল খান ছিলেন ক্রিকেটার এবং ফুটবলার। চাচা আকরাম খান বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক। বড় ভাই নাফিস ইকবাল খান ছিলেন বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। চাচা আফজাল খান, আকবর খানরাও ছিলেন ক্রিকেটার। আর তামিম নিজে বাংলাদেশের অন্যতম ক্রিকেটার। চাচাত ভাই ফাইজান খানও ক্রিকেটার। তাই তামিমের ছেলে ক্রিকেটার হবে সেটাইতো স্বাভাবিক। যার রক্তে বংশ পরম্পরায় ক্রিকেটারের রক্ত বহমান সেইতো ক্রিকেটার হবে। বাবা-দাদাদের পথে হাঁটার যাত্রাটা যেন শুরু করেছে তামিম পুত্র আরহাম ইকবাল খান। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবার থেকে আরো একজন তারকা ক্রিকেটার বেরিয়ে আসবে তেমনটি প্রত্যাশা তাহলে করাই যায়। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসাটা আছে আরহামেরও। না হলে বাবার সঙ্গে গুটি গুটি পায়ে কেনইবা হাজির হবে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ব্যাট হাতে ‘কঠোর’ অনুশীলন করতেও দেখা গেলো তামিম জুনিয়রকে।
তবে একটা ব্যাপার সবার আলাদা করে নজরে এসেছে তা হচ্ছে বাবা তামিম বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হলেও ছেলে কিন্তু ডানহাতি। মিরপুর স্টেডিয়ামে নেটের বাইরে ব্যাট হাতে দারুণ সব শট খেললো ছোট্ট আরহাম। অন্যদিকে পিতা তামিম তখন নেটে ঘাম ঝরাচ্ছিলেন। অনুশীলন শেষে হাত ধরাধরি করে বাবা-ছেলে বের হলেন মাঠ থেকে। তামিম পুত্রের এমন ক্রিকেট অনুশীলন আশাবাদি করতেই পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আরেকজন তামিম পাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তামিম বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই। নিজে থেকেই সরে গেছেন। তবে খেলার মধ্যেই থাকছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ফিরেছেন অনুশীলনে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নেপালে যাবেন এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে।