বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফর বাতিল হয়ে গেছে এরই মধ্যে। ক্রিকেটারদের ম্যাচের মধ্যে রাখতে বিসিবি আয়োজন করেছে তিন দলের একটি সিরিজ। সেই তিন দলের হয়ে খেলছে চট্টগ্রামের ছয়জন ক্রিকেটার। তারা হলেন তামিম ইকবাল, মোমিনুল হক, ইয়াসির আলি রাব্বি, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং ইরফান শুক্কুর। এই ছয় ক্রিকেটারের মধ্যে নাঈম ছাড়া সবাই ব্যাটসম্যান। কিন্তু সবার ব্যাট তেমন হাসেনি টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত। তবে ব্যতিক্রম ইরফান শুক্কুর। জাতীয় দলে এখনো খেলার সুযোগ না হলেও ইরফান কিন্তু জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের টপকে এখন বেশ সফল। গতকাল পর্যন্ত খেলা তিন ম্যাচেই হেসেছে তার ব্যাট। প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে দারুন এক হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ইরফান। ৭৮ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সে ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন ইরফান। পরের ম্যাচে তামিম ইকবাল একাদশের বিপক্ষে ৪০ বলে করেন ২৪ রান। আর শনিবার বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন ইরফান। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস। বল না থাকায় সিরিজে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিটা পাননি ইরফান। বাংলাদেশ ‘এ’ দল এবং এইচপি দলের হয়ে খেলা ইরফান যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন। উইকেটের সামনে ব্যাট হাতে যেমন দুর্দান্ত সময় কাটছে ইরফানের তেমনি উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক হিসেবেও বেশ ভাল করছেন এই বাঁ হাতি। দীর্ঘ সময় পর ম্যাচ খেলতে নামা ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই ব্যাট হাতে সফল হতে পারছেন না। সেখানে ইরফান শুক্কুর তারকা না হয়েও সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছেন বেশ ভালভাবেই। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের কারনে সচরাচর উপরে ব্যাট করার সুযোগ পান না ইরফান শুক্কুর। শেষের দিকেই তাকে ব্যাট করতে হয়। তবে প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বলতে গেলে এখনো পর্যন্ত সিরিজে সেরাদের তালিকায় রয়েছেন ইরফান শুক্কুর। লিগ পর্বে আরো একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ইরফানদের। আর সে ম্যাচটি তামিম ইকবাল একাদশের বিপক্ষে। সে ম্যাচেও ভাল করার প্রত্যয় এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের। যেভাবে তার ব্যাট হাসছে ইরফানের তাতে শেষ ম্যাচেও ভাল কিছু করার আশা করতেই পারেন এই তরুন। তবে পাশাপাশি নিজের ইনিংসটাকে লম্বাও করতে চান ইরফান শুক্কুর। যদিও যে পজিশনে তিনি ব্যাট করতে নামেন সে অবস্থায় ইনিংস বড় করার সুযোগ থাকে কম। তারপরও এগিয়ে যেতে চান চট্টগ্রামের এই তরুন।