নারী অনূর্ধ্ব–১৯ টি–টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৩–২ ব্যবধানে জিতে নিল তারা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৩ রানে এবং চতুর্থ ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ যথাক্রমে ৩ ও ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার ক্রিকেট একাডেমি মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান বোলারদের তোপে ১৯ দশমিক ১ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জিতে গেছে পাকিস্তান। এদিন স্বাগতিক নারীদের ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি। দলের পক্ষে মাত্র একজন ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে সক্ষম হন। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪ রান তোলার পর সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মায়মুনা নাহার। পরে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়েছেন অচেনা জান্নাত, সাদিয়া ইসলাম, ফারজানা ইয়াসমিন ও সুমাইয়া আক্তার। মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ২২ রানের জুটি গড়েন হাবিবা ইসলাম ও সাদিয়া আক্তার। শেষ পর্যন্ত ৯০ এর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার ব্যাটার সাদিয়া আকতারের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে। অতিরিক্ত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে। এছাড়া ৯ রান করে করেন সুমাইয়া আকতার ও হাবিবা ইসলাম। পাকিস্তানের হয়ে রোজিনা আকরাম ও বারিরা সাইফ ৩টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৫ রান তুলে ম্যাচ ও সিরিজ জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। দলের পক্ষে কোমাল খান ২৫ ও আকসা হাবিব ২১ রান করেন। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন অতশী মজুমদার। পরে দ্রুতই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় তারা। রানআউটে কাটা পড়েন ৮ বলে ১০ রান করা রাহিমা সাঈদ। এরপর ৩৭ রানের জুটি গড়েন কোমল খান ও আকসা হাবিব।
২১ রান করে ফারজানা ইয়াসমিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আকসা। এরপর ২৫ রান করা কমল খানকে ফেরান হাবিবা। তাতেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। পরে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফিজা ফায়াজ ও আরিশা আনসারি। বাংলাদেশের অতশি মজুমদার, ফারজানা ইয়াসমিন ও হাবিবা ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের বারিরা সাইফ।












