এন্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের পরিণতি কি হতে পারে সেটা একরকম নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল প্রথম দিনেই। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানের পুঁজি নিয়ে আর যাই করা যাক টেস্ট ক্রিকেটে লড়াই করা যায় না। তারপরও বাংলাদেশ যে ম্যাচটাকে চতুর্থ দিনে নিয়ে যেতে পেরেছে সেটা বোলারদের কল্যাণে। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি। ৭ উইকেটের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করতে হলো টাইগারদের।
এন্টিগা টেস্টের শেষটা তৃতীয় দিন কিংবা তার আগেও হয়ে যেতে পারতো। কিন্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনে এসে ৭ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অপরাজিত ব্যাটার ব্ল্যাকউড এবং ক্যাম্পবেল। এখন আগামী ২৪ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। যদিও তেমন নজির খুব কমই রয়েছে টাইগারদের।
ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ১০৩ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল বাংলাদেশ। বোলাররা কিছুটা ধাপট দেখিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। ২৬৫ রানে থামিয়েছিল স্বাগতিকদের। তখন একটা আশা ছিল অন্তত দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। সেই প্রথম ইনিংসের পথেই হাটতে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল যে সাকিব এবং সোহান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। না হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামতে নাও হতে পারতো। সাকিব-সোহানের ১২৩ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ২৪৫ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে। সাকিব করেন ৬৩ আর সোহান করেন ৬৪। দুজন নিজেদের হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যেতে পারলে হয়তো ম্যাচের আয়ু আরো কিছুটা বাড়তে পারতো।
এন্টিগা টেস্ট জিততে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রানের। তবে তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় হঠাৎ স্বাগতিক শিবিরকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ। মাত্র ৯ রান যোগ করতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন খালেদ। কিন্তু ধপ করে জ্বলে উঠা আগুনতো আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। যেমনটি হয়নি বাংলাদেশের বেলায়। টাইগারদের সব জারিজুরি শেষ সেই খালেদের এক স্পেলেই। এরপর ক্যাম্পবেল এবং ব্ল্যাকউড মিলে দিনটা শেষ করেছিল।
কিন্তু তখনো জয়ের জন্য বাকি ছিল ৩৫ রানের। চতুর্থ দিন সকালে জয়ের সেই আনুষ্ঠানিকতা সারতে আধ ঘণ্টাও সময় নেয়নি স্বাগতিকদের দুই অপরাজিত ব্যাটার ক্যাম্পবেল এবং ব্ল্যাকউড। মিরাজকে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন ক্যাম্পবেল। তখন তিনি অপরাজিত ৬৭ বলে ৫৮ রান করে। আর ব্ল্যাকউড অপরাজিত থাকেন ২৬ রান করে। বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দুঃস্বপ্নের এন্টিগা টেস্ট শেষ। এখন পরের টেস্টের জন্য প্রস্তুতির পালা টাইগারদের।