ব্যাটিং নিয়েই আক্ষেপ অধিনায়ক শান্তর

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

আয়ার‌্যলান্ড সিরিজে বাংলাদেশের যেসব প্রাপ্তি সেসব অনেকটাই প্রত্যাশিত। বরং আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে যতটা দাপুটে পারফরম্যান্স ভাবনায় ছিল, বিশেষ করে রানের যে জোয়ারের আশা ছিল, তা পূরণ হয়নি পুরোপুরি। সিরিজ জয়ের প্রাপ্তির দিনে এই অপ্রাপ্তির ছোঁয়া ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। এই সিরিজের দুই টেস্টে তিন ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি এসেছে। দুই ম্যাচের সিরিজে নিজেদের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড বাংলাদেশ ছুঁয়েছে। তবে দেড়শ পার করা ইনিংস কেবল একটিই। সিলেটে মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন। অন্য তিনটি সেঞ্চুরিতে কেউই ১৩০ রান পার করতে পারেননি। সিলেটে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক ৮০ রানে আউট হয়েছেন, লিটন দাস ফেরেন ৬০ রানে। মিরপুরে প্রথম ইনিংসে বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিফটির আগে ফেরেন সাদমান ও জয়, মুমিনুল ফিরেছেন ৬৩ রানে, মিরাজ ৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে জয় ৬০ রানে, সাদমান ৭৮ রানে আউট হন। মুমিনুল শতরানের সম্ভাবনা দেখালেও ৮৭ রানে আউট হয়েছেন।

সিরিজ জয়ের পর প্রাপ্তির সঙ্গে অপ্রাপ্তির কথাই শান্ত নিজের মনে প্রকাশ করেন,‘আমার কাছে মনে হয় যে এই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আমরা যখন পরিকল্পনা করি, দলীয় মিটিংয়ে এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলেছি যে, আসলে আমরা কতগুলো সেঞ্চুরি করতে পারি দল হিসেবে। ব্যক্তিগত তো করবই, কিন্তু দল হিসেবে আমাদের প্রত্যেকটা সিরিজে বা প্রত্যেকটা ইনিংসে কতগুলো একশ হচ্ছে এবং একশ যেন শুধু একশতেই থেমে না যায়, ১৫০, ১৬০, ১৭০, ২০০, এরকম যেন হয়। ইতিবাচক দিক হলো চারটা শতরান হয়েছে। নেতিবাচক দিক আমি বলব যে , সেঞ্চুরিগুলো আরও বড় হতে পারত। এখান থেকে যদি দুটি ডাবল সেঞ্চুরি হতো, তাহলে এটা আরও ভালো হতো।’ শান্তর আশা, ভবিষ্যতে এই ইনিংসগুলোই আরও বড় হবে। ‘৫০ রানের ইনিংসগুলো ১০০ হলে আরও ভালো হতো। সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি। সবাই চেষ্টা করেছে, তবে অধিনায়ক হিসেবে চাওয়া আরও ভালো কিছুর ছিল। কারণ এমন একটি দলকে সামনে পেলে, যদি ব্যাটসম্যানের পেছনে এই রানগুলো থাকে, ভবিষ্যতে তা তার আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়াবে। ম্যাচে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটো দিকই ছিল। ভবিষ্যতের জন্য আশা করি এই রানগুলো আরও বড় হবে। ১০০, ১৫০, ২০০ যাতে খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারে।’ শান্ত ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্বকেও তুলে ধরেছেন। টেস্টে ভালো করতে হলে এই অভ্যাস তৈরি হওয়া জরুরি। ‘ঘরোয়ায় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে আমরা যেন বড় ইনিংসের অভ্যাস গড়ে তুলি। সুযোগ এলে সবাই যেন সেই চার দিনের ম্যাচে খেলতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রত্যাশা, প্রতিটি খেলোয়াড় যেন প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে খেলে এবং সেখানে বড় রান করার চেষ্টা করে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধমোহামেডান-সিটি কর্পোরেশন ব্রাদার্স ইউনিয়ন-এস এ ফ্যামিলি