ভালো স্কোর গড়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তা হলো না। অথচ অনেক কিছুই ছিল অনুকূলে। পিচ,হাতে উইকেট,আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস। সব ছিল সামনে। কিন্তু হয়নি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায় ওই সময়টায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে তোলে ৩ উইকেটে ৬৪ রান। দলের সামনে তখন সম্ভাবনা দেড়শর আশেপাশে কোনো স্কোর গড়া। আগের ম্যাচেই শেষ ১০ ওভারে রান এসেছিল ৮৭। কিন্তু এবার শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে কেবল ৪৪ রান! অধিনায়ক নিজে কিংবা থিতু হয়ে যাওয়া শান্ত পারেননি ইনিংস আরও এগিয়ে নিতে। নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদি হাসানরা পারেননি ঝড় তুলতে। তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও। এই উল্টো পথে ছোটার শুরু হয় মাহমুদউল্লাহকে দিয়েই। ১৩তম ওভারে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারে আউট হয়ে যান দলের সর্বোচ্চ স্কোরার শান্তও (৪০)। এরপর আর ছন্দই পায়নি দলের ব্যাটিং। ১০৮ রানের পুঁজি নিয়ে দল পারেনি সেভাবে লড়াই জমাতেও। ম্যাচের পর অধিনায়ক হারের জন্য ইঙ্গিত দিলেন ব্যাটিংয়ের ওই শেষ সময়টাতেই। ‘আজকে শুরুটা আমরা ভালোই করেছিলাম। আফিফ ও শান্ত মাঝের সময়টায় খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমি ও শান্ত চেষ্টা করছিলাম একটা জুটি গড়ে তুলতে। তবে শেষ কিছু ওভার আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের মতো দলের জন্য ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত একজন সেট ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা জরুরি, যেন শেষ কয়েক ওভারে ঝড় তোলা যেতে পারে। আজকে আমরা তা করতে পারিনি।’ এদিকে পাকিস্তান ইনিংসে বাংলাদেশী ফিল্ডারের হাত থেকে পড়ে যায় সহজ দুটি ক্যাচ। ম্যাচ শেষে সেসবের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন সাইফ হাসান। পরে আমিনুলের বলেই রিজওয়ানের সহজতম ক্যাচ নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। কেন বারবার একই ভুল, কেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই পড়ছে ক্যাচ, এটির উত্তর জানা নেই মাহমুদউল্লাহর। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কণ্ঠে ফুটে উঠল অসহায়ত্বের সুর। ‘আমি জানি না ছেলেরা অনুশীলনে অনেক কাজ করছে, নিয়মিত অনেক ক্যাচ নিচ্ছে। অনুশীলনে সম্ভব সব কিছুই করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচে আমরা সুযোগ হাতছাড়া করছি।’