ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে পাত্তাই পেল না কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কোহলিদের ৬৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে দলটি। লক্ষ্য ১৯২ রানের। শুরুটা বেশ ভালোই ছিল ব্যাঙ্গালুরুর। দেবদূত পাড্ডিকেলের সঙ্গে বিরাট কোহলির ৩ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৪ রান, যে জুটিতে বলতে গেলে পুরো অবদানই পাড্ডিকেলের। ৭ বলে ৮ রান করে কোহলি ফিরলে ভাঙে জুটিটি। এরপর ১৫ বলে ৩৪ রানের ঝড় তুলে দেবদূত শার্দুল ঠাকুরের শিকার হলে হঠাৎ ধস নামে ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসে। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। মাঝে গ্লেন ম্যাঙওয়েল ১৫ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন। তারপর ব্যর্থতার পরিচয় দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স (৪), ড্যান ক্রিশ্চিয়ান (১)। ৩ উইকেটে ৭৯ থেকে ৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে কোহলির দল। অর্থাৎ ১৫ রানের ব্যবধানে খোয়ায় ৫ ব্যাটসম্যানকে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২২ রানে থামে ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। রবীন্দ্র জাদেজা ১৩ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন ইমরান তাহির। এর আগে ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন জাদেজা। মূলত তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই বড় পুঁজি পেয়ে গিয়েছিল চেন্নাই। ১৯তম ওভার শেষে দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৪। সেখান থেকে শেষ ওভারের তান্ডবে চেন্নাইকে ৪ উইকেটে ১৯১ রান এনে দেন জাদেজা। হার্শাল প্যাটেলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কাসহ মোট ৩৭ রান নেন জাদেজা। বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ২৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। জাদেজার এমন এক অবিশ্বাস্য ইনিংসের আগে দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে অবদান রেখেছেন টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানরাও। ফ্যাফ ডু প্লেসি ৪১ বলে ৫০, রিতুরাজ গাইকঁদ ২৫ বলে ৩৩ আর আম্বাতি রাইডু করেন ৭ বলে ১৪ রান। ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করা হার্শাল প্যাটেলই। ৫১ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি।