ব্যাংক মালিক হওয়ার স্বপ্নপূরণ হলো না সাকিবের

| শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:১৭ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও অনুমোদন পেল না যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আবুল কাশেমের পিপলস ব্যাংক। লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করায় আর কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না ব্যাংকটি। তবে ভবিষ্যতে ব্যাংকটির উদ্যোক্তারা একই নামে অথবা নতুন নামে ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে পারবে। খবর বাংলানিউজের।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতার এই ব্যাংকের শেয়ার কিনে মালিক হতে চেয়েছিলেন। সাকিব ব্যাংকটির মালিকানায় আসার জন্য ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিতে চেয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনটি নতুন ব্যাংককে (পিপলস ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক) লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেন ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু পিপলস ব্যাংক পরিশোধিত মূলধনসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং আরও সময় চেয়ে আবেদন করে আসছে। সবশেষ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ শেষ হয়। তার আগেই এলওআইর মেয়াদ আবেদন করেছিল পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরুর শেষ চেষ্টা হিসেবে মালিকানায় যুক্ত করতে চেয়েছে অলরাউন্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। তারপরও কার্যক্রম শুরুর দিকে আগাতে পারল না পিপলস ব্যাংক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের এলওআইর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আর তাদের এলআইর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, লেটার অব ইনটেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় নাকচ হওয়ার ফলে পিপলস ব্যাংকের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটল। এখন তারা চাইলে একই নামে অথবা নতুন নামে ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিশিগানে ডেপুটি মেয়র চট্টগ্রামের কামরুল
পরবর্তী নিবন্ধদর্শক ছাড়াই আজ শুরু হচ্ছে বিপিএল