ব্যাংক থেকে জমা স্লিপ নিজেই সিল দেন, পাঠান পাওনাদারদের কাছে

পতেঙ্গায় প্রতারক গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি ‘ক্যাশ রিসিভড’ সিলমোহর আছে তার। ব্যাংক থেকে জমা স্লিপ নিয়ে নিজেই সিল দেন। পরে সেই স্লিপ পাঠান পাওনাদারদের কাছে। এছাড়া ব্যাংকের অ্যাপের মতো হুবহু ফান্ড ট্র্যান্সফারের স্ক্রিনশট দিয়েও করেন প্রতারণা।

নগরের পতেঙ্গা থানায় প্রতারণার মামলা মো. মজিবুর রহমান ওরফে হান্নান (২৮) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজাদীকে বলেন, রোববার খুলশী থানা এলাকা থেকে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে কয়েকটি ব্যাংকের ক্যাশ রিসিভড লেখা সিলমোহর ও জমা স্লিপ জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, হান্নানের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায়। তার বাবার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি নগরের খুলশী থানা এলাকায় থাকেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, হান্নান চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মালামাল পরিবহনের জন্য গাড়িভাড়া দেন তিনি। গত ১১ জানুয়ারি তার কাছ দুটি গাড়ি ভাড়া নেন ম্যাক্স গ্রুপের কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম। গাড়ি দুটি পতেঙ্গা হর্স ইয়ার্ড থেকে মালামাল লোড করে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু একদিন পরও মালামালগুলো পৌঁছায়নি।

দেরির কারণ জানতে হান্নান ম্যাক্স গ্রুপের কর্মকর্তাকে বলেন- গাড়ি নষ্ট হয়েছে, এ জন্য দেরি হচ্ছে। এর দুদিন পরও পিকআপ না পৌঁছালে তিনি বলেন- গাড়িচালক মালামালগুলো অন্য কোথাও বিক্রি করে পালিয়ে গেছেন। তবে পিকআপে করে পাঠানো মালামালের মূল্যবাবদ চার লাখ ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি তিনি। এ জন্য আশরাফুলের কাছ থেকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চান হান্নান। পরে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে একটি স্ক্রিনশট পাঠান হান্নান। কিন্তু আশরাফুল চেক করে দেখেন তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশরাফ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হান্নান জানান, তিনি নিজেকে সাপ্লাই ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরবরাহের অর্ডার নেন। মালামাল সরবরাহের আগে অগ্রিম বাবদ বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। কিন্তু মালামাল সরবরাহ না করে তা বিক্রি করে দেন। পরে প্রাপক মালামাল চাইলে টাকা ফেরত দিতে ইচ্ছুক বলে ভুয়া স্লিপ ও স্ক্রিনশট পাঠিয়ে প্রতারণা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে রিকশাচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার