জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তারা হলেন নগরীর ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আজম চৌধুরী। মামলার আরেক আসামি নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা জাকির হোসেন বাপ্পিকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদক পিপি মোকাররম হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, মামলার অপর এক আসামি ফারজানা হোসেন ফেন্সির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি; যার কারণে আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন বাদী হয়ে জাল–জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ও খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রাহক আবুল মুনসুর খান নগরীর ইস্টার্ন ব্যাংক চান্দগাঁও শাখায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি এফডিআর খোলেন। এটি খোলার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে কৌশলে ঋণের নথিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন ম্যানেজার ইফতেখারুল। পরে মূল এফডিআরের নথি ব্যবহার করে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ঋণ নেয়া হয়। অথচ গ্রাহক আবুল মুনসুর খান কোনো ঋণ নেননি। এরপর গ্রাহকের সই জাল করে অন্য আসামিদের নগদ চেক ও ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে কয়েক দফায় আবুল মুনসুর খানের অ্যাকাউন্ট থেকে পরস্পর যোগসাজসে মোট ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।










