ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড় বিরাজ করছে। করোনাকালের লকডাউনের মাঝে ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত করে দেয়ায় গ্রাহকদের চাপ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। অপরদিকে কোরবানির মৌসুমেও ব্যাংকিং কার্যক্রম বেড়েছে।
লকডাউনের মাঝে ব্যাংকিং কার্যক্রম সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সকাল দশটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন এবং চারটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে। কিন্তু সপ্তাহের চারদিনই ব্যাংকগুলোতে লেনদেনে ব্যাপক চাপ পড়ে। প্রতিদিন শত শত মানুষকে বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে লাইন ধরে ব্যাংকিং করতে হয়। গতকাল আগ্রাবাদ এবং জিইসি মোড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ব্যাংকে ভিড় করছেন। স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন তারা। টাকা জমা দেয়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক গ্রাহক টাকা উত্তোলনও করেন। এছাড়া ডিপিএস এবং এফডিআরসহ নানা কাজে গ্রাহকেরা ব্যাংকে আসেন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর একজন ব্যাংকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, সময় কমে যাওয়ায় গ্রাহকদের চাপ বেড়েছে। চারদিনের মধ্যে পাঁচ দিনের কাজ করতে হচ্ছে। আবার ব্যাংকিং সময়ও কমে গেছে। ঈদের আগে মানুষকে টাকা পয়সা উত্তোলন করতে হচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরাও লেনদেন করছেন। গরু ব্যবসায়ীদেরও বিপুল পরিমাণ লেনদেন বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এতে করে ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকভাবে চাপ বেড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।