বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরী পরিবারের ‘লকার’ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তার বাসা থেকে উদ্ধার ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ট্রেজারিতে রাখা এবং ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জৈষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, এসকে সুর চৌধুরী ও তার পরিবারের লকার জব্দ, তার ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ট্রেজারিতে রাখা এবং তার দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হোসাইন আদালতে আবেদনটি করেন। খবর বিডিনিউজের।
পি কে হালদারের কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর। সে বছর ১৫ মার্চ হাই কোর্ট এক এক আদেশে প্রশ্ন তোলে, এস কে সুর চৌধুরীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে ২০২২ সালের ২৯ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার পর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। পিকে হালদার নানা কৌশলে নামে–বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন এবং এ কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার ‘যোগসাজশ’ ছিল বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করেছে দুদক। দেশ ছাড়ার পর দুই বছর আগে ভারতে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। গত সপ্তাহে অর্থ পাচারের এক মামলায় তাকে জামিন দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত।