শ্রীলংকা সফরে খুব ভালো খেলতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যদিও দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে তারা জয়লাভ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু একবারও দলীয় স্কোর ২৫০ ছাড়াতে পারেনি তারা। এর চেয়েও দুঃখজনক এই পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই অলআউট হয়েছে দল, আর এক ম্যাচে পড়ে গেছে ৯ উইকেট। ব্যাটিং বিপর্যয় যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ দলের ব্যাটিং ইউনিটের দায়িত্বে আছেন দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত কোচদের একজন– মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। যে ফরম্যাটের ক্রিকেট বাংলাদেশের জন্য গর্বের, সেই ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ের এই হাল!
এমন অবস্থায় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে নিয়েও হচ্ছে তীব্র সমালোচনা। সালাউদ্দিন অবশ্য জানিয়েছেন, কোচ হিসেবে ব্যর্থ হলে চাকরি ছেড়ে দিবেন তিনি। সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ হলেও সালাউদ্দিনের মূল দায়িত্ব ব্যাটিং শেখানো। সামপ্রতিক ব্যর্থতায় নিজের দায় স্বীকার না করে সালাউদ্দিন উল্টো সমালোচনার প্রমাণ চাইলেন। কলম্বোতে বুধবার শুরু হবে শেষ টি–টোয়েন্টি। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এলেন কোচ সালাউদ্দিন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন এই বাংলাদেশ টিম আমার বাপ দাদার সম্পত্তি না। ঠিক আছে? এটা হচ্ছে যে ভালো, পারফর্ম যদি ভালো না করি, এখানে সমালোচনা হবেই। এটা আমাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতেই হবে। ভালো করলে সবাই বাহবা দিবে। কিন্তু আমি টিমের জন্য আমার ১০০% দিচ্ছি কিনা, আমি কি আমার জায়গায় সৎ কিনা, সেটা আমার কাছে মুখ্য বিষয়।’ সালাউদ্দিন আরও বলেছেন, ‘অভিযোগগুলো লিখে দিলে ভালো হতো। প্রমাণ দিতে হবে। আমি ভালো না হলে বোর্ড সরিয়ে দিবে। এমন না আমার এখানে চাকরি করতেই হবে। এখানে নিজের ইচ্ছায় আসিনি।’ নিজের অবস্থান নিয়ে কোচ আরও বলেছেন, ‘দেখুন আমি কোচ। আমাকে যদি আপনি বলেন যে কালকে সালাউদ্দিন তুমি যাও আন্ডার থার্টিনে গিয়ে কোচিং করাও, আই ডোন্ট মাইন্ড।
আমার এখানে ট্যাগ লেখা নাই যে আমি কোচ ন্যাশনাল টিমেরই শুধু। সো এটা নিয়ে আমার কখনোই ইগো সমস্যাও নাই, আমার কোনও কিছু সমস্যা নেই। এটা নিয়ে আমি চিন্তিতও না।’ কোচ হিসেবে পারফর্ম করতে না পারলে চাকরি ছাড়তেও প্রস্তুত বলে জানালেন সালাহউদ্দিন, ‘আমি যদি ভালো না হই, বোর্ড আমাকে সরিয়ে দেবে, কোনও সমস্যা নাই। বাট আপনি কখনো কাউকে কোনও কিছু জাস্টিফাই না করে যদি কাউকে লিখেন, এটা আসলে ঠিক না। আপনি জানেন লোকটা সৎ কি সৎ না? সেটা জেনে তারপরে আমার মনে হয় লেখা উচিত। এটা শুধু হয়তো আমি মেন্টালি অনেক স্ট্রং আছি। অনেক দুর্বল মানুষ কিন্তু হয়তো পড়ে যেতে পারে। আর এমন না যে আমার এখানে চাকরি করতেই হবে। আমার অনেক কিছু করার আছে। এখানে আমি নিজের ইচ্ছাতেও আসিনি।’