কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় মামলার রায় আজ। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে এখন কারাগারে রয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৭ সাবেক সদস্য।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি কক্সবাজার সদর থানার পেছনের রোড থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর তারা ওই ব্যবসায়ীকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ব্যবসায়ীর পরিবার ধারদেনা করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। এ টাকা হাতে পাওয়ার পরদিন ভোরে আবদুল গফুরকে কঙবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকিতে অবহিত করলে সেখানে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা ডিবি পুলিশের সদস্যদের বহন করা মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে সেখানে ১৭ লাখ টাকা পান। তল্লাশিকালে ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে সেনা সদস্যরা। পরে তাদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো-এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, এএসআই গোলাম মোস্তফা ও এএসআই আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রায় ১০ মাস তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ডিবির ৭ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর ডিবির ৭ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করে।