চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক ব্যবসায়ীকে মারধর। হাইকোর্ট থেকে ৩ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা। অতঃপর কারাগারে গেলে ছাত্রলীগ নেতা হাসান মুরাদ(৩৩)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলাম আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নিদেশ দেয়। তার বিরুদ্ধে গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করে আদালত।
কারাগারে যাওয়ার হাসান মুরাদ উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। তিনি হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী এক নম্বর ওয়ার্ড ধোপা দিঘীর পাড় আকমল মিয়াজির বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পেছনের ধানক্ষেতে আহমেদ হোসেন সোহেল নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়।
আহমেদ হোসেন সোহেল হাটহাজারীর উত্তর ফতেয়াবাদ দক্ষিণ পাহাড়তলী নন্দীরহাট এলাকার হাজী মো. মুছার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ব্যবসায়ী আহমদ হোসেন সোহেল এলাকায় ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আগে থেকে ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৯ অক্টোবর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হাসানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী সোহেল।
বাদীর আইনজীবী অ্যাড. আবু সায়েম মোহাম্মদ নাসিম উদ্দীন বলেন, হাইকোর্ট ৩ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়ার পরও আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি হয়।