সময় যায়। ক্যাম্পাসে অগ্রজদের বয়স বাড়ে। বিদায়ের দারপ্রান্তে পৌঁছায়। তেমনি এবার সময়ের দ্বারপ্রান্তে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। হয়ত কিছুদিন পরেই ছাড়তে হবে প্রিয় ক্যাম্পাস; নাম লেখাবেন প্রাক্তনদের খাতায়।
তাই ক্যাম্পাস জীবনের শেষ দিনগুলো আরো স্মরণীয় করে তুলতে তারা মেতেছেন নানা আয়োজনে। ঠিক এমন উপলক্ষকে সামনে রেখেই চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের বিদায়ী ব্যাচ ‘উপসংহারে উনিশ’ আয়োজন করেছে এক চমকপ্রদ ‘ফুটসাল টুর্নামেন্ট’ এর।
গত (০৭ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দুপুর ৩ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় মাঠে এক উদ্বোধনী পর্বের মাধ্যমে এই টুর্নামেন্টের পর্দা উন্মোচিত হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী ৮ দলের স্বত্বাধিকারী ও পরিচালক শিক্ষকবৃন্দ এবং খেলোয়াড় শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পুরকৌশল বিভাগের প্রয়াত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তার পরপরই প্রতি দলের এনালিস্টদের জার্সি ও ক্যাপ্টেনদের ব্যাজ প্রদান করা হয়৷ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। তিনি তার বক্তব্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন চমৎকার আয়োজনের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। পড়াশুনার পাশাপাশি এমন আয়োজন সকলকে আরো উজ্জীবিত করবে। আমি আশা রাখি পরবর্তী বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুরকৌশল ভবনের সেমিনার কক্ষে খেলোয়াড়দেরকে দক্ষতা অনুযায়ী কাল্পনিক মূল্য নির্ধারণ করে নিলামে তোলা হয়।
সেই নিলামের মাধ্যমে পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে অন্তর্ভুক্ত করেন স্বত্বাধিকারী শিক্ষকরা। বাস্তব অর্থের লেনদেন না হলেও প্রচুর উদ্দীপনায় নিলাম অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় যার মাধ্যমে টুর্নামেন্টটির আমেজ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে।
মোট ৮ টি দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত উক্ত টুর্নামেন্টটিতে অগ্রজদের সাথে প্রাণবন্ত সময় কাটাতে যোগ দিয়েছে অনুজ ২০ ব্যাচও। ঠিক যেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্বের বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি।
টুর্নামেন্টটির পরিচালক চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: সাকিব খান বলেন, “উপসংহারে উনিশ” ফুটসাল টুর্নামেন্ট ২০২৫ আয়োজনের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করা এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা। সাধারণত শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করেন, তবে এবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। আশা করছি, এই আয়োজন চুয়েট পরিবারে এক নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে।