বোয়ালখালীতে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে বালি সরবরাহ নিয়ে সরকার দলের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার পূর্ব চরখিজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ করছিল ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ এতে বালি সরবরাহের জন্য তোড়জোড় করে আসছিলেন প্রস্তাবিত চরখিজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মো. ইসকান্দর ও পাশ্ববর্তী শাকপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. হায়দার। গত শনিবার সন্ধ্যায় দু’জনেই দু’গাড়ি বালি নিয়ে প্রকল্প এলাকায় যান। কিন্তু একজন আরেকজনকে বালি সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে দু’জনের মাঝে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মো. ইসকান্দর অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠিকাদারের মৌখিক অনুমতি পেয়ে আমি বালি নিয়ে গেলে সেখানে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নামধারী হায়দার নামের এক সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমাকে বাধা দেয়। পরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। ব্যাপারটি আমি আমার ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। তারা এর একটা সুরাহা দেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। দেখি তারা কি সিদ্ধান্ত দেন।’ অপর দিকে শাকপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. হায়দার বলেন, ‘ঠিকাদারের সাথে কথা বলেই আমি বালি পাঠিয়েছিলাম কিন্তু ইসকান্দর সে বালির গাড়ি ঢুকতে বাধা দেয়। তার কথা অপর ইউনিয়ন থেকে কেউ এখানে বালি সরবরাহ করতে পারবে না। আমিও বলেছি আমার ইউনিয়নের উপর দিয়ে তার গাড়িগুলো কিভাবে ঢুকে আমি দেখে নেব। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. শরীফুল ইসলাম এর সত্যতা স্বীকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, এগুলো তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু কাউকে ওয়ার্ক অর্ডার দেইনি। জানতে চাইলে ওসি বোয়ালখালী মো. আবদুল করিম বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।