বোয়ালখালী উপজেলায় গত আড়াই মাসে সাপের কামড়ে অন্তত ৪১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। হঠাৎ করে সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ষার কারণে সাপ আবাসস্থল থেকে বেরিয়ে আসে এবং মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। যার ফলে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সন্ধ্যার পর অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে কৃষক, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যেসব রোগী ভর্তি হয়েছেন তাদের অনেকেই ধানক্ষেত, বাঁশঝাড় কিংবা ঘরের আশপাশে চলাচল করার সময় সাপের ছোবলের শিকার হয়েছেন। কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা ও ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ায় সাপের বসবাস ও চলাচলও বেড়েছে। গত জুন মাসে সাপের কামড়ে চারজন রোগী ভর্তি হয় তারমধ্যে দুইজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা। জুলাই মাসে আটজন রোগী ভর্তি হয় তার মধ্যে সাতজন পুরুষ ও একজন মহিলা। এছাড়া আগস্ট মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ঊনত্রিশ জন রোগী ভর্তি হয় তার মধ্যে পনেরজন পুরুষ ও চৌদ্দজন মহিলা।
সৈয়দপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. শফিক বলেন, সমপ্রতি সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে এক শিক্ষার্থী সাপের কামড়ে মারা গেছে। কয়েকটি সাপ স্থানীয়রা মেরে ফেলেছে। এতে স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন। সাপ নিধনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, আমরা অ্যান্টিভেনমসহ সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রেখেছি। আমাদের সকল চিকিৎসককে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যেকোনো সময় চিকিৎসকরা যাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পেতে পারেন, সে জন্য একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে ফোকাল পারসন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।