অ্যালান ডোনাল্ড পেস বোলিং কোচ হয়ে আসার পর টাইগার পেসারদের চোখে পড়ার মতো উন্নতি হয়েছে। প্রোাটিয়াস এই কোচের কাজে খুশি সবাই। আগেও অনেকবার সে কথা পেসাররা বলেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যক্ত প্রথম ওয়ানডের পর হাসান মাহমুদ ফের বললেন ডোনাল্ডের কথা। চেমসফোর্ডে বৃষ্টির বাধায় ম্যাচটি শেষ করা যায়নি। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪৬ রানে থেমে গিয়েছিল, এরপর ১৬.৩ ওভারে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেটে ৬৫ তোলার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। রান তাড়ায় নামা আইরিশরা শুরুতেই পড়েছিল দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর হাসান মাহমুদের তোপে। ২৭ রান উঠতেই ২ উইকেট তুলে নেন তারা। তৃতীয় উইকেটটি নেন তাইজুল। বোলিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন বোলিংয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল– ফোর্থ থেকে ফিফথ স্টাম্পে ওদেরকে বল করা। স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা, জায়গা না দেওয়া, যতটুকু সম্ভব স্টাম্পে বল করা। সুইং ও নতুন বলের ব্যবহার করতে পারা। যতটুকু সম্ভব সামনে বল করা। আমরা মোটামুটি খুব ভালো শুরু করেছি আমি ও শরিফুল। ওদের দুইটা উইকেট পড়েছে আমাদের স্পেলে,। পরে তাইজুল একটা নিয়েছে। আমরা খুবই ভালো অবস্থানে ছিলাম।
কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে ডোনাল্ড বলে দিয়েছিলেন কিভাবে বল করতে হবে। এরকম কন্ডিশনে ভালো করার একটাই রাস্তা বলে শিখিয়েছেন ডোনাল্ড । আর সেটা হচ্ছে যতটুকু সম্ভব ব্যাটারকে সামনে খেলানোর চেষ্টা করা। বঙের মধ্যে বল করা। স্টাম্প টু স্টাম্প যদি বল করতে পারি তাহলে খুব ভালো হয় আর কী। অ্যাভারেজে খুবই ভালো একটা ফিগার দাঁড়ায়। নিজের বোলিং নিয়ে খুশি হাসান মাহমুদ । তিনি বরেন ইংল্যান্ডে এটা আমার প্রথম আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলা। ওভারঅল উইকেটটা খুব ভালো ছিল। সুইং ও বাউন্স ছিল। আমি যতটুকু চেষ্টা করেছি আমার লাইন–লেন্থে নিজেকে মেইনটেইন করে বল করা। বলতে পারি খুব ভালো শুরু হয়েছে।
ডোনাল্ডের অবদানের কথা জানাতে গিয়ে হাসান মাহমুদ জানান পেস বোলিং এই কোচ তাদের পেছনে অনেক শ্রম দিচ্ছেন। অভিজ্ঞতাও শেয়ার করছেন কখন কী করতে হবে। সবমিলিয়েই উন্নতিটা হচ্ছে । হাসান মাহমুদ বলেন আমাদের পেস বোলিং যে বিভাগ আছে, তারা অনেক ভালো করছে বিগত কিছু দিন ধরে। ইংলিশ কন্ডিশনেও খুবই ভালো একুরেসি ও ভালো শেপে আছে। এর পেছনে ডোনাল্ডের অনেক পরিশ্রমও বটে। ও আমাদের ওর আগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে কীভাবে কী করলে ভালো হয়। ওর অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, ও অনেক কিছু শেয়ার করে আমাদেরকে। ওই টিপসগুলো সাহায্য করে এসব জায়গায়। হাসান মাহমুদ বলেন ডোনাল্ড বলছিল যতটুকু সম্ভব ব্যাটারকে সামনে খেলানোর চেষ্টা করতে হবে। ফোর্থ বা ফিফথ স্টাম্পে হিট করানো। ওখানে ব্যাটার একচুয়েলি লড়াই করে এসব কন্ডিশনে। সঙ্গে সুইং থাকে, যদি ভালো জায়গায় বল করি উইকেট নিতে পারবো এসবগুলো ও বলতেছিল। ওর কথা অনুযায়ী ফলো করার চেষ্টা করেছি। আজকে ভালো হয়েছে দুজনেরই আমার ও শরিফুলের। বলতে পারি ডোনাল্ড একেবারে হাতে ধরে ধরে শিকিয়ে দেন।