চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আবার ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। ফিরিয়ে নিয়েছেন অবসরের সিদ্ধান্ত। এরপর নিজের শারিরীক এবং মানসিক ফিটনেস ফিরে পেতে ছুটি নিয়েছেন দেড় মাস। এরই মধ্যে তামিম পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে বেড়াতে গেছেন। দুবাই থেকে যাবেন ইংল্যান্ডে। সেখানে নিজের ইনজুরির চিকিৎসা করানোর কথা রয়েছে তামিম ইকবালের।
এদিকে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে আসলেই কি তামিম জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন। একটা ধোঁয়াশা কিন্তু এখনও রয়েই গেছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আগামী ২৯ জুলাই থেকে টাইগারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হওয়ার কথা। তামিম সেই ক্যাম্পে থাকবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কদিন আগে জানিয়েছেন মেডিকেল টিমের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে তামিমের থাকা না থাকা। তবে তামিম বলেছেন আমি পরিবারের সাথে দুবাই যাচ্ছি। সেখানে থেকে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে যাব। ঢাকায় ফিরে বোর্ডে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সাথে কথা বলব। আমি অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সাথে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমার অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ কি, গত ছয়–সাত মাস ধরে আমি কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি আর কেন আমার অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার ছিল। তামিম বলেন, ভেতরের বিষয়গুলো তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে জানাতে চান না। কেবল বিসিবির সঙ্গেই এই ব্যাপারে কথা বলতে চান। পরিষ্কার করে বললেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কথা।
তামিম বলেন আমরা পেশাদারিত্ব নিয়ে অনেক কথা বলি এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা প্রায়ই সেটা মেনে চলি না। গোপনীয়তা বলে কিছুই নেই। আমাদের সবসময় একটা লিমিট থাকা উচিত। মাঝে মধ্যে আমরা সেটা ক্রস করে ফেলি। অতীতেও এমন হয়েছে। আমি যখনই বোর্ডের সাথে ব্যক্তিগত কথা বলেছি, সেটাও গণমাধ্যমের কাছে জানানো হয়েছে। এটা শুধু আমার সাথে না, আরও অনেকের সাথেই ঘটেছে। এমনটা যে কাউকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। আর এটা হলে কথা বলতেও ভয় লাগে। কখন না জানি সে সব আবার মানুষের কাছে চলে যায়। তামিম আশা করেন বিসিবির সঙ্গে এবার যা আলোচনা হবে সেটা তার এবং বোর্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আমি আশা করব ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধানের সাথে আমি যাইই আলাপ করি সেটা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। জালাল ইউনুসের এর প্রতি আমার সেই বিশ্বাস আছে। তাই আমি ওনার সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে আগ্রহী। এরপরেই পরবর্তী বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবো।