বোয়ালখালীতে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা ও গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনের মামলা করেছেন শাকরপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বোয়ালখালী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের চলমান উন্নয়ন ব্যাহত, সড়কে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি ও যানবাহন ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে ও হাতবোমা বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পোপাদিয়া ইউনিয়নের মৃত এস এম হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান সুজন, মীরপাড়ার বুদু বসাইয়ের ছেলে ফারুক, পশ্চিম কধুরখীল মৃত আবুল কালামের ছেলে নাছির উদ্দীন, পূর্ব গোমদন্ডীর মৃত নুর নবীর ছেলে আছহাব উদ্দীন দুলাল, মৃত নোয়া মিয়ার ছেলে লোকমান, মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমিনুর রহমান, পশ্চিম শাকপুরা ইউনিয়নের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে শাহাদাত হোসেন সাদ্দাম, এস এম মতিউর রহমান রাসেল, খিতাবচর এলকার মৃত ছৈয়দুল হকের ছেলে সজীব মেম্বার, মৃত মোজাহেরুল হকের ছেলে আতিক উল্লাহ্, দক্ষিণ করলডেঙ্গা এলাকার আব্দুল মোনাফের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন মেম্বার, আবুল কাশেমের ছেলে মো. আবুল বশর, শ্রীপুর এলাকার গোল বক্সের ছেলে নজরুল ইসলাম, খরণদ্বীপ এলাকার মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ, পূর্ব গোমদন্ডীর হাজী মো. ইছহাক চৌধুরীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে ব্যবসায়িক কাজে নাসির উদ্দীন শহরের উদ্দেশ্যে বের হন। ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি ব্রিজ থেকে প্রায় ৫০০ গজ উত্তরে আরাকান সড়কে পৌঁছে তিনি দেখতে পান, বোয়ালখালী থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ৭০-৮০ জন অবরোধ কর্মসূচির নামে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ির টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাঁধা দেয় ও ওই রাস্তায় চলা গাড়ি ভাঙচুর করছে।

এ অবস্থায় রাস্তায় ভাঙচুর করা গাড়িসহ অন্যান্য গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। 

সে সময় নাসির ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকেও আক্রমণ করে। এতে তিনি পায়ে আঘাত পান।

তিনি তখন ঘটনাস্থল থেকে চলে গিয়ে পুলিশকে অবগত করলে থানার এসআই মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে পালিয়ে যায়।

মামলায় নাসির বলেন, বিষয়টি আমি দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে আসামিদের নাম-ঠিকানা জেনে এবং চিকিৎসা নিয়ে থানায় গিয়ে ১৫ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার করি।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছহাব উদ্দিন বলেন, থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাত দিয়ে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে মেহেদী হাসান সুজন বলেন, সেদিন কোন ঘটনায় ঘটেনি। এসব গায়েবী মামলা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা কোন সন্ত্রাসী না যে এসব করব। আমরা আদর্শিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের আন্দোলন, আওয়ামীলীগ আদর্শের লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে মামলা হামলার মত খোঁড়া পথ খুঁজে নিয়েছে, এইগুলা করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকার যে স্বপ্ন তারা দেখতে এই দেশের জনগন সেটা হতে দেবেনা,গনতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনবো আমরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানে মদবাহী সিএনজিসহ পাচারকারী আটক
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে মধ্যরাতে দোকান ও জেলের জালের ঘর পুড়ে ছাই