নগরীর খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেল মজুদ থাকার কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরবরাহ না দেয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম। গতকাল দুপুরে চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকার পরেও কারচুপির দায়ে রূপচাদা সয়াবিন তেলের ডিলার আল আমিন স্টোর এবং পুষ্টি সয়াবিন তেলের ডিলার সাতকানিয়া স্টোরকে যথাক্রমে ২০ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, বোতলজাত তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে ডিলারের কাছে। কিন্তু ডিলাররা যথাযথভাবে দোকানগুলোতে তেল সরবরাহ করছে না। থাকার পরেও তারা বলছে তেল নেই। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি। অভিযান চলাকালে আল আমিন স্টোরে আমাদের একজনকে তেল আছে কিনা খোঁজ নিতে পাঠাই। তারা তখন বলেছে তেল নেই। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে আমরা গিয়ে তেল পেয়েছি। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাতকানিয়া স্টোর আমাদের জানায় যে, তাদের কাছে কাছে তেল নেই। কোম্পানির কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ১৩০০ কার্টন, যা প্রায় ২৪ হাজার লিটার তেল ওনাদের সরবরাহ করেছে। পরে তিনি স্বীকার করেন তাকে ৬০০ কার্টন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৪০ কার্টুন তেল সরবরাহের হিসেব আমাদের দিতে পেরেছেন। বাকিগুলোর হিসেব দিতে পারেননি। তাই ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
