বান্দরবানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানে জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি-এর সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা শীর্ষক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, “পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই, বিজু, বৈসু, সাংক্রান উদযাপনের জন্য আজ বুধবার থেকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস, জুতা, ব্যাগের দোকানগুলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। কোভিড-১৯ কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানগুলোতে কেনাবেচা করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।”
এদিকে বুধবার লকডাউনের তৃতীয় দিনে বান্দরবানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল। রিকশা ভ্যান, ব্যাটারিচালিত টমটম, জীপ-পিকআপ এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও মোটামুটি কমবেশি খোলা রাখতে দেখা গেছে জেলা শহরে তবে দূরপাল্লার গণপরিহনগুলো যথারীতি বন্ধ ছিল। বান্দরবান বাজার সহ আশপাশের হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
অপরদিকে লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও খুব একটা চোখে পড়েনি বুধবার তবে প্রথম দু’দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং দোকান খোলা রাখার অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত জরিমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।