মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হিসাব করার ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক প্রাক্কলনের প্রস্তাব দিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।এটা করা হলে আঞ্চলিক বৈষম্য রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে বলে মনে করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপি প্রাক্কলনে করণীয়’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিবিএস এর কাছে এই প্রস্তাব রাখেন প্রতিমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, “ দেশের অঞ্চল ভিত্তিক জিডিপির তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের আগেও ছিল। কোন অঞ্চল কোথায় আছে কোনটা ওপরে কোনটা নিচে এটা জানা খুবই দরকার। যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল নাকি রাজশাহী কে কম-বেশি প্রবৃদ্ধি করছে এটা জানা খুব দরকার।” শামসুল আলম বলেন অঞ্চলভিত্তিক হিসাব হলে বোঝা যাবে কোন এলাকা কতটা প্রবৃদ্ধি করছে। আবার কোনো অঞ্চল যদি ক্রমাগত পিছিয়ে থাকে, তাহলে কেন পিছিয়ে আছে তা বের করে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। “যে অঞ্চল পিছিয়ে আছে সেখানে জিডিপিতে অবদান রাখতে পারে এমন অবকাঠামো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।”
ড. আলম বলেন, একসময় বাংলাদেশেও আঞ্চলিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব রাখা হত। সামরিক শাসনামলে তা উঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রবৃদ্ধির পরিস্থিতি বুঝতে প্রতি প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে পৃথিবীর দুয়েকটি দেশ ছাড়া সব দেশই ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপির হিসাব করে। তথ্য উপাত্তের জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয়।”প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, শুধুমাত্র ত্রৈমাসিক ও আঞ্চলিক তথ্য তুলে আনলেই হবে না। এসব তথ্য যথা সময়ে প্রকাশ করতে হবে। “রিয়েল টাইম ডেটা রিয়েল টাইমেই পেতে হবে। ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন হলে এটা পরের মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশ করা উচিত। না হলে উদ্দেশ্য সফল হবে না।”