বৈষম্যের পথ বন্ধ করা গেলে সমাজে সম্প্রীতির পথ খুলবে

কর্মশালায় বক্তারা

| রবিবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

‘বিভাজনের রাজনীতি, অপরিমিত জীবনাচার, ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ববাদ বিশেষ করে অর্থনৈতিকসহ নানা বৈষম্য সামাজিক সম্প্র্রীতির বীজতলা নষ্ট করছে। এসব বৈষম্যের পথ বন্ধ করা গেলে সমাজে সম্প্রীতির পথ খুলবে।’ ‘কালটিভেশন অফ সেক্যুলার মাইনড’ অর্থাৎ ‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের কর্মশালায় উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়। গত শুক্র ও শনিবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হলে দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। একটি সহনশীল ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কর্মশালা থেকে ‘দি নেটওয়ার্ক ফর পিসমেকার্স, চট্টগ্রাম’ নামে একটি প্ল্যাটফরম’ গঠন করা হয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, চবি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর মনজুরুল আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সুভাষ দে ও চবি নাট্যকলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অসীম দাশ।
‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক প্রকল্পের নেতৃত্বদানকারী চবি দর্শন বিভাগের শিক্ষক মাছুম আহমেদ কর্মশালায় ধারণাপত্র তুলে ধরেন। তিনি মানবিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রকল্পের পরিচালক শান্তিকর্মী সনৎ কুমার বড়ুয়া ও শাসন বড়ুয়া কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ে প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত নানা কর্মকাণ্ডের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, নানা ধর্ম, বর্ণ তথা সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থানই সমাজের সৌন্দর্য। এতে হানাহানির অবকাশ নেই। সংঘাত আর বিদ্বেষের কারণ সম্প্রদায় নয়, বরং সাম্প্রদায়িক আচরণ।
প্রফেসর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, অন্তরের সৌন্দর্যকেই সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বাহন করতে হবে। সুন্দরের অনুশীলনই মানুষকে শান্তির পথ দেখাতে পারে।
প্রফেসর মনজুরুল আলম বলেন, নিজেকে সেরা বলে জাহির করার মধ্যে এক ধরনের অসহায়ত্ব লেপ্টে থাকে। সেই অসহায়ত্ব সমাজে বিদ্বেষ আর বিভাজনকে উস্কে দেয়। শব্দ চয়নে ও প্রয়োগে মানবিক মূলবোধ সংযুক্ত থাকলে সম্প্রীতি ও শান্তির পথ অবারিত হয়। সাংবাদিক সুভাষ দে বলেন, সম্প্রীতি ভাবনার বীজতলা হচ্ছে মানুষের মানসভূমি। এই ভূমিতে কর্ষণ সঠিকভাবে হলে সম্প্রীতির বুনন শক্তিশালী হয়।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নেটওয়ার্ক ফর রেলিজিয়াস অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্সসহ কয়েকটি সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সম্প্রীতি বুনন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পটি চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধশেষ মুহূর্তের ভর্তি নিশ্চিতে ইডিইউতে আগ্রহীদের ভিড়