বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মহান স্বাধীনতার পেছনে যে সমৃদ্ধি, মুক্তি ও অগ্রযাত্রার আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে। আমরা নির্বাচনের পথে এগোচ্ছি। নির্বাচিত সরকার ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরীফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) নাজিমুল হক, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. সিরাজুল ইসলাম। স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক শাহাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, উত্তর জেলা সংসদের আহ্বায়ক এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী, গেরিলা কমান্ডার ফজল আহমদ, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফজল বারিক, ডা. মোঃ শাহ আলম প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের গর্ব ও অহংকার। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ প্রেমিক ও মহাকাব্যের একটি রচনা তৈরি করে আমাদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আত্মসমর্পণ করে। এজন্য প্রতি বছরের মত এবারও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












