খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে রয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরকে ঘিরে যে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারিত হওয়ার কথা, সরকারের কিছু বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পদে পদে ভুগতে হচ্ছে। এর মধ্যে এক নম্বর হলো-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত। সারাদেশে ২২টি মহাড়ক রয়েছে। সবগুলো মহাসড়কে পর্যায়ক্রমে ওজন স্কেল বসানো হবে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়া আর কোথাও বসানো হয়নি। ফলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ট্রাকে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করতে পারছে না। অথচ দেশের অন্য অন্য এলাকায় এক ট্রাকে ১৮-২০ টন পণ্য আনা নেয়া হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার। এখান থেকে সারা দেশে পণ্য গুদামজাত শেষে পরিবহন হতো, কিন্তু এখন বন্দর থেকে লাইটাজারেজে ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ ২০ থেকে থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্য জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের।