বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) দৃষ্টিতে বাংলাদেশে গত এক বছরে অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারী–পুরুষ বৈষম্য আরো প্রকট হয়েছে, আর তার ফল হয়েছে বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচকে বড় অবনমন। বার্ষিক এই সূচকে গত বছরের তুলনায় ৪০ ধাপ নেমে গিয়ে ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এবার ৯৯তম স্থানে ঠেকেছে। অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের অবস্থা আরও নাজুক। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ এবারও সবচেয়ে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে পাকিস্তান রয়েছে সবার নিচে।
২০২৩ সালের সূচকে ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১২ ধাপ এগিয়ে ৫৯তম অবস্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ, তার আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ৭১ নম্বরে।
গতকাল বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ১৪৬টি দেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ডব্লিউইএফ এ সূচক প্রকাশ করে আসছে ২০০৬ সাল থেকে। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও অস্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন– এ চার মাপকাঠিতে নারী–পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এবার নিয়ে লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে টানা ১৫ বছর শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। এরপর শীর্ষ দশের অন্য নয়টি দেশ হল– ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউ জিল্যান্ড, সুইডেন, নিকারাগুয়া, জার্মানি, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। সবার নিচে ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে সুদান। ঠিক তার ওপরে পাকিস্তান, তার আগে রয়েছে শাদ, ইরান, গায়ানা ও মালি। দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের মধ্যে সূচকে বাংলাদেশের পর নেপাল ১১৭, শ্রীলঙ্কা ১২২, ভুটান ১২৪, ভারত ১২৯, মালদ্বীপ ১৩২ এবং পাকিস্তান ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের চেয়ে এবারও পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১০০), চীন (১০৬) ও জাপান (১১৮)। ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন বলছে, রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আগের বারের মত এবারও সপ্তম, স্কোর ০.৫৪৩। এ বিষয়ে ২০২২ সালে সূচকে নবম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।