বৈশ্বিক সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ছয় সুপারিশ

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চান রোডম্যাপ

| বুধবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

কোভিড১৯ মহামারী পরবর্তী অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি বৈশ্বিক রূপরেখা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারী পরবর্তী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন একটি সুসমন্বিত রোডম্যাপ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি ও আদ্দিস আবাবা এজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে এই রূপরেখা প্রণয়ন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অনুঘটকের ভূমিকায়ও দেখতে চেয়েছেন তিনি। কোভিড১৯ মহামারীতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই এখন বিপর্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা অর্থনীতিতে মহামারীর ক্ষত মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোভিড১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভীষণ রকম প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৩.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি, যা আমাদের জিডিপির ৪.০৩ শতাংশের সমান। এই মহামারীর সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

বৈশ্বিক এই সঙ্কট উত্তরণে ছয়টি সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা, অর্থ ছাড় এবং ত্রাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। উন্নত দেশগুলোকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান তিনি।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে দেশগুলোকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর রেমিটেন্স প্রবাহ গতিশীল রাখার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের তাগিদ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এই মহামারীর কারণে স্বল্পোন্নতের তালিকায় উঠে আসা দেশগুলোর পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে কমপক্ষে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের জন্য আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর কথাও তিনি বলেন।

সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও জামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরী যেন আর না ডুবে
পরবর্তী নিবন্ধজেএমআই এমডি রাজ্জাক ৫ দিনের রিমান্ডে