বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রাণঘাতি বৈশ্বিক মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মানবিক সহায়তা দানের প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা দানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে মোমিন রোডস্থ মৈত্রীভবন মিলনায়তনে দুলাল কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন তাপস হোড়, নারায়ণ কৃষ্ণ গুপ্ত, শ্যামল কুমার পালিত, অধ্যক্ষ সাধন চন্দ্র পাল। বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিশ্বজিৎ পালিত। সভায় বিভিন্ন বিভাগের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অর্থসচিব আশুতোষ সরকার, শিক্ষাসচিব অধ্যাপক হারাধন নাগ, ধর্ম ও সংস্কৃতি সচিব উপাধ্যক্ষ আনন্দ মোহন রক্ষিত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সচিব অজিত কুমার আইচ, বিবাহ সচিব ডা. বিশাখা ঘোষ, স্বাস্থ্য সচিব ডা. গৌতম চৌধুরী।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সূচিত সাধারণ সভায় শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দপ্তর সচিব বিকাশ মজুমদার এবং বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন অ্যাড. সুমন কৃষ্ণ দাশ। সাধারণ সভায় প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অ্যাড. রুবেল পাল, অ্যাড. পংকজ চৌধুরী, রিমন মুহুরী, সুরঞ্জন ভট্টাচার্য, অ্যাড. উত্তম কুমার দত্ত, তাপস নন্দী, চন্দন কুমার চৌধুরী।
বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভায় সুবিধাবঞ্চিতদের বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তাদানের জন্য ৭২,৪৭,০০০ টাকার ব্যয় বাজেট অনুমোদন করা হয়। এছাড়াও অধ্যাপক হারাধন নাগ, মৌসুমী নাগ, উপাধ্যক্ষ আনন্দ মোহন রক্ষিত, প্রিয়তোষ সরকার প্রত্যেকে ২৫,০০০ টাকা করে বিভিন্ন খাতে স্মৃতি অনুদান ঘোষণা করেন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যাড. উত্তম দত্ত ৫,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। বিগত সনে বৈশ্বিক মহামারী করোনায় কর্মহীন ও অসচ্ছল ৫০০ পরিবারের মধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ করায় সাধারণ সভায় প্রশংসিত হয়। এবছরও বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুরূপ কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।