বৈলতলীতে তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ

দোকান ভাঙচুর, আহত ২০

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের বৈলতলীতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন বৈলতলী দীঘিরপাড় এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৬০), কুতুব উদ্দীন সবুজ (২১), মো. শাহেদ (৩২), মো. বাবু (২৫), মো. রাশেদ (৩০), মো. বাবুল মিয়া (৩৬), মো. মফিজ (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩০) ও মো. টিপু (৩৫), ডেবারকুল এলাকার মো. শাহজাহান (২৬), মো. মারুফ (২৩), মো. মিজান (২৮), আবু তৈয়ব (৩২), রমজু মিয়া (৫২), শামসুল আলম (৪৫), আবদুস সাত্তার (৫৫), শওকত আকবর (২৪) ও সাইফুদ্দিন (২২)। তাদের চন্দনাইশ ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৈলতলী ইউনুস মার্কেটের ব্যবসায়ী ডেবারকুল এলাকার দেলোয়ার হোসেন। গত ৮ ডিসেম্বর তার দোকানের সামনে সিএনজি রাখেন দীঘিরপাড় এলাকার চালক কায়সার আহমেদ। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু রোববার রাতে ইউনুস মার্কেট এলাকায় নামাজ পড়তে যান দীঘিরপাড় এলাকার রাশেদুল হক নওশা মিয়া। তখন পূর্বের ঘটনার জের ধরে ডেবারকুল এলাকার বেশ কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পরপর দীঘিরপাড় এলাকার কায়সার আহমেদকে পুনরায় মারধর করা হয়। তাকেও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রাতের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে দুই এলাকার লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এছাড়া ঘটনার সময় ডেবারকুল এলাকার লোকজন দীঘিরপাড় এলাকার মফিজ উদ্দীন ও মো. টিপুর ২টি দোকান ভেঙে দেয়। অপরদিকে দীঘিরপাড় এলাকার লোকজন ভাঙচুর করে ডেবারকুল এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের দোকান। একপর্যায়ে এলাকার ইউনুস মাকের্ট ও সিরাজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চন্দনাইশ থানা পুলিশ। বর্তমানে বৈলতলী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দীঘিরপাড় এলাকার কুতুব উদ্দীন সবুজ বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দীন সরকার জানান, অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অপরপক্ষেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসদারঙ্গের শ্রদ্ধার্পণ অনুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধমাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ উদযাপিত