বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন রুটের জাহাজ চলাচল আবারও স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, দুই শতাধিক পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন। বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে ফিরে যেতে পারবেন তারা। তাদের সার্বিক নজর রাখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর দ্বীপটিতে ঘুরতে গিয়ে ২০০ জনেরও বেশি পর্যটক দুদিন আটক পড়েছিলেন বলেও জানান চেয়ারম্যান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী জানান, সমুদ্রে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ/স্পিড বোট/কাঠের বোট বা যে কোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজটি ৮৫২ জন পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটি ৬০০ জনেরও বেশি পর্যটক নিয়ে ফিরে আসে। বাকি পর্যটকেরা দ্বীপে রাত্রিযাপন করেন। আপাতত তারা সেখানে আটকা পড়ে আছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকা পড়া পর্যটকদের সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে নিরাপদে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দপ্তরের উপ–পরিচালক নয়ন শীল বলেন, প্রাথমিকভাবে সাতদিনের জন্য এমভি বারো আউলিয়া জাহাজটিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি সফল হলে এ জাহাজটিসহ অন্যদেরকেও সামুদ্রিক রুটটিতে জাহাজ পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে।