একটি গোষ্ঠী প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে সাময়িক আবেগের বশবর্তী হয়ে না বুঝে কেউ তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অবৈধ পথ বেছে নিবেন না। প্রবাসীদের হুন্ডি বা চোরাকারবারীদের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করছে এসব অপপ্রচারকারীরা। তাদেরকে বুঝানো হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা না পাঠালে দেশে ব্যাংকের রিজার্ভ কমে গিয়ে সরকারের পতন ঘটবে। রিজার্ভ কমে গেলেই সরকারের পতন ঘটবে– এমন ধারণা ঠিক নয়। জগএ সেক্টরসহ নানান খাত থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়মিত টাকা আসে। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত টাকা আসছে। শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা না পাঠালেই সরকারের পতন হবে– এমনটি অযৌক্তিক। আপনি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা না পাঠিয়ে চোরাই পথে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালেন। তাতে আপনি সরাসরি চোরাকারবারি, দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীকেই সহযোগিতা করলেন। ধরুন, একজন লোক অবৈধ পথে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করতে চাচ্ছে, তখন সে লোক বিদেশে তার প্রতিনিধি বা এজেন্টকে সে দেশের মুদ্রা জমা দিতে বলবে। বিনিময়ে তার সমপরিমাণ অর্থ দেশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিবে। আর এভাবেই দেশের টাকা বিদেশে পাচারে আপনিও হয়ে গেলেন অপরাধের সঙ্গী। যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। এটা ইসলামও সমর্থন করে না।
আরেকটি কথা, বৈধ পথে টাকা না পাঠানোর কারণে যদি রিজার্ভ কমে গিয়ে দ্রব্য আমদানি কমে যায়, তাতে বাজারে খাদ্য দ্রব্যের সরবরাহ কমে যাবে। ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়বে–এতে কিন্তু আপনার পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার পরিবারের খরচ বেড়ে যাবে। আখেরে লাভ হবে কার? তখন কিন্তু এসব অপপ্রচারকারীরা আপনার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে না। তাই সাময়িক আবেগের বশবর্তী হয়ে অপপ্রচার ও গুজবে কান দিয়ে নিজের ও দেশের ক্ষতি করবে না। এদেশ আপনার–আমার। আশার কথা, গত ক‘দিনে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা অপপ্রচারকারীদের গুজবে কান না দিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে টাকা পাঠানো অব্যাহত রেখেছে।