‘বে টার্মিনাল সীমানা দেয়াল নির্মাণ : পাঁচ খালের মুখ বন্ধ হচ্ছে ?’ শীর্ষক গত ১২ মার্চ দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে একটি বক্তব্য প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল দৈনিক আজাদীতে প্রেরিত বক্তব্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন যে, ৫ টি খাল বন্ধের খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য। দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য এবং সিডিএ’র বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে। বে টার্মিনাল নির্মাণের ডিজাইন ড্রইং প্রণয়ন করার সময় চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই নকশা চূড়ান্ত করা হবে।
বন্দরের বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্প এলাকা জেলেপাড়া থেকে ইপিজেড এর শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার বিস্তৃত। এ এলাকায় শত বছরের পুরানো প্রাকৃতিক ২ টি খাল রয়েছে ( ১৬ নং এবং ১০ নং )। সিডিএর ৬টি স্লুইসগেইট রয়েছে। তার মধ্যে শত বছরের পুরানো ২ টি খালে দুইটি স্লুইস গেইট পড়েছে। সিডিএর নতুন রাস্তা বা শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করাতে বাকি ৪ টি স্লুইস গেইট কৃত্রিমভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্লুইস গেইট সমূহ হতে পানি নিষ্কাষিত হয়ে সাগরে পতিত হওয়ার কোন পরিকল্পনা সিডিএ কর্তৃক গ্রহণ করা হয়নি। এসংক্রান্ত কোন ডিজাইন এবং ড্রইং চবককে প্রেরণ করা হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে সিডিএ চবকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে কোন বৈঠক বা পত্রালাপ করেনি। বর্তমানে বে টার্মিনাল এলাকার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যা আর্টিলারি সেন্টার বা শত বছরের পুরানো ১৬ নং খাল থেকে দুই হাজার ফুট দক্ষিণে। এই সীমানা প্রাচীর এলাকায় সিআর-৫ স্লুইস গেইট পড়েছে। সিআর-৫ একটি কৃত্রিম স্লুইস গেইট যা পত্রিকায় ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে। এটির সাথে শহরের কোন ড্রেন বা খালের সংযোগ নেই। শুধুমাত্র সিআর-৬ ও সিআর-৪ হল প্রাকৃতিক খালের উপর নির্মিত স্লুইস গেইট। উক্ত স্লুইস গেইটের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আন্তর্জাতিক পরামর্শক দ্বারা বে-টার্মিনাল ডিজাইন করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, পয়ঃনিষ্কাশনের সকল আধুনিক ব্যবস্থা এবং খালসমূহের গতিপথ অপরিবর্তিত রেখেই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। অনুমান নির্ভর কোন বক্তব্য এভাবে না দেয়া সমীচিন বলেও বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।