আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে, এমনকি শুধু বে–টার্মিনালেই ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মূলনীতি হলো আমাদের দেশে বিশ্বের সেরা পরিচালিত বন্দর থাকতে হবে। বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দর রয়েছে ৩৩৯ নম্বরে। আমাদের তো বেশি বন্দর করার সুযোগ নেই। আমাদের হয়তো ৩টা, ৫টা, ৭টা– এ কয়টা পোর্টের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। এজন্য সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমাদের আরও ইফেক্টিভ ও বেস্ট ম্যানেজমেন্ট বন্দর গড়ে তুলতে হবে। ঠিকভাবে প্রতিযোগিতা যেন করতে পারি, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। এতে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তাদের মতামত তুলে ধরেন। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আশিক চৌধুরী। আশিক চৌধুরী তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাবনা, সমস্যা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন দেশের বন্দরের তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর ও বে টার্মিনাল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান।
ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন গ্যাস, আমার কাছে ইনভেস্টর রেডি, কিন্তু আমার অপরচুনিটি রেডি না আনফরচুনেটলি। আমাদের যত দ্রুত সম্ভব, এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। আমার কাছে গতকালও চাইনিজ ইনভেস্টর এসেছে। আরও তিনজন চাইনিজ ইনভেস্টর বাংলাদেশে আসার কথা বলেছেন। উনাদের প্রত্যাশা হচ্ছে যে, আমি উনাদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট সাইন করবো আর ছয় থেকে বারো মাসের মধ্যে উনারা কারখানা চালু করবেন। কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি, রাস্তা এসবের ব্যবস্থা এর মধ্যে করে দেওয়ার তো অপরচুনিটি আমার কাছে নেই। চৌধুরী আশিক বলেন, বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করেন, তারা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ব্যবসা করেন। আমরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। আনফরচুনেটলি গ্যাস একটা বড় সমস্যা। সাপ্লাইচেইনে প্রচুর সমস্যা। এই গ্যাস সাপ্লাই নিয়ে অনেক কথাবার্তা চলছে। পাওয়ার জেনারেশনে গ্যাস সাপ্লাই কমিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে বাড়ানোর কথা হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটাই যথেষ্ট নয়, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে।
লালদিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে : চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আমি লালদিয়া টার্মিনাল এলাকায় গিয়েছি, সেখানে ৮০০ মিলিয়ন ডলার এফডিআই আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর আমরা বে–টার্মিনালে গেলাম। সেখানে দুইটা অপারেটরের কথা বলা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের এক বিলিয়ন ডলার করে ইনভেস্ট করার প্ল্যান আছে। এরপর আমরা এনসিটিতে গিয়েছিলাম, সেখানেও ২০০ মিলিয়ন ডলারের মতো কথাবার্তা হচ্ছে। এই যে আমরা তিন বিলিয়ন ডলারের কথা বলছি, এটা হয়তো নেঙট তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আসতে শুরু করবে, যদি আমরা সবকিছু সাকসেসফুলি করতে পারি। আমি তিন বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট পাচ্ছি শুধু পোর্টে। এছাড়া কর্মসংস্থানের জন্যও এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি পোর্টগুলো করতে পারি, শুধু বে–টার্মিনালেই ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বার্ষিক এফডিআই ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি নয়। একটি প্রকল্প থেকেই যদি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসে, তবে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বিডা’র পক্ষ থেকে আমরা এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
বে টার্মিনালে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে : চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল ২০৩০ সালে চালুর আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, সেখানে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বে টার্মিনাল প্রকল্পের দুটি টার্মিনালে বিদেশি দুটি কোম্পানি মোট ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ (এফডিআই) করবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডিংয়ে কিছু কাজ করছি। সরকার থেকে কিছু ফাইন্যান্সিং হচ্ছে। যেটা ব্রেক ওয়াটার হবে, সেটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডিং এ হবে। আর সেই সাথে এডিবি আমাদের সাথে কাজ করছে। অ্যাডভাইজার হিসাবে তাদের সাথে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, এখানে যেই দুইটি পোর্ট অপারেটরের কথা বলা হচ্ছে, পিএসএ সিঙ্গাপুর, পিএসএ’র খুবই ভালো এঙপেরিয়েন্স। তারা ওই এঙপেরিয়েন্সটা নিয়ে আসবে, আমাদের সাথে বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো নিয়ে আসবে এবং আমরা এস্টিমেট করছি যে, এই পিএসএ এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড রাফলি এক বিলিয়ন ডলার করে এই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করবে।
এক বিলিয়ন, এক বিলিয়ন করলে প্রথম দুইটা টার্মিনালেই আমরা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের মতো একটা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের চেহারা দেখতে পাব। অভিয়াসলি এটা কিন্তু ওভার টাইম হবে। তাই আমরা যদি মনে করি যে, ২০২৬ সালে হঠাৎ করে ১০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট, এভাবে হয় না জিনিসটা। একটু গ্রাজুয়ালি আসবে।
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ওনাদের কনস্ট্রাকশন পিরিয়ডের মধ্যে ওনারা গ্রাজুয়ালি ইনভেস্ট করতে থাকবে এবং আমরা আশা করছি যে, ২০৩০ এর মধ্যে, ৩০ এর দিকে আমরা এই পোর্টগুলোকে চালু করতে পারব।
বিভিন্ন দেশের বন্দরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, শ্রীলংকায় টোটাল পোর্ট আছে সাতটা। তাদের যে হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি সেভেন পয়েন্ট সেভেন এইট মিলিয়ন টিইইউস। বাংলাদেশের ক্যাপাসিটি এখন ওয়ান পয়েন্ট থ্রির কাছাকাছি। ভিয়েতনামে টোটাল পোর্ট আছে ৪৪টা। তাদের ক্যাপাসিটি ৪৭ মিলিয়ন টিইইউস। আমরা বলি যে, আমরা ভিয়েতনামের সঙ্গে কম্পিটিশান করবো, কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটি আমাদের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। কম্বোডিয়া খুবই ছোট্ট একটা দেশ, তাদের পোর্ট হচ্ছে ২৬টা। আশিক চৌধুরী বলেন, আমাদের মূলনীতি হলো, আমাদের দেশে বিশ্বের সেরা পরিচালিত বন্দর থাকতে হবে। আমাদের তো আসলে ৪৪টা বন্দর করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের হয়তো ৩টা, ৫টা, ৭টা– এ কয়টা পোর্টের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। আমাদের যেহেতু জায়গা কম। তবে আমাদের মাস্টাপ্ল্যান আছে যে, আমরা সেভেন পয়েন্ট এইট মিলিয়ন টিইইউসের দিকে চলে যাব, ৫–৭ বছরের মধ্যে, যদি আমাদের সব প্রজেক্ট সাকসেসফুল হয়, তাহলে আমরা শ্রীলংকার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছাব। যেহেতু ল্যান্ড লিমিটেড, যেহেতু আমাদের অপশনস লিমিটেড, তাহলে আমাদের বিশ্বের মধ্যে আরও ইফেক্টিভ ও বেস্ট ম্যানেজমেন্ট পোর্ট গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের ঠিকভাবে প্রতিযোগিতা যেন করতে পারি, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রামকে ঘিরে বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন যে ম্যানুফ্যাকচার করি, সেটা আসলে আমাদের ক্যাপাসিটি বা ক্যাপাবিলিটির তুলনায় কিছুই না। চট্টগ্রামে আমরা চাইনিজ একটা ইকোনমিক জোনের ঘোষণা দিয়েছি। আনোয়ারাতে একটা কোরিয়ান ইপিজেড আছে। সেখানে কিছু প্রবলেম ছিল, সেগুলো আমরা সমাধান করেছি। মীরসরাইয়ে আমাদের ন্যাশনাল ইকোনমিক জোন যেটা আছে, আমরা মনে করছি যে বাংলাদেশে যত ইকোনমিক জোন আছে, তার মধ্যে এটা হচ্ছে ফ্ল্যাগশিপ ইকোনমিক জোন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের লং টার্ম ভিশন যেটা আমাদের, সেটা কিন্তু পুরোটাই চট্টগ্রামকে ঘিরে। তিনি বলেন, দুদিন আগে আমরা একটা ন্যাশনাল কমিটি গঠন করেছি, ফ্রি ট্রেড জোনের জন্য। তো সেই ন্যাশনাল কমিটি যে জায়গাগুলো ফ্রি ট্রেড জোনের জন্য দেখছে, যে দুই–তিনটা জায়গা দেখা হয়েছে, প্রত্যেকটিই চট্টগ্রামে।
আশিক চৌধুরী বলেন, এই বাংলাদেশের ফুল অ্যাম্বিশনটার মধ্যমণি হচ্ছে চট্টগ্রাম। আমরা বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা, ইকনোমিক্যালি চিন্তা করছি। সেটার সবচেয়ে সেন্টার পিস হচ্ছে গিয়ে চট্টগ্রাম। এবং চট্টগ্রামের এই সেন্টার পিসটার একটা অংশ আমরা এখানে দেখতে পাচ্ছি।
এই পোর্টটা আরো এফিসিয়েন্ট হবে, সাথে আরো অনেকগুলা পোর্ট দাঁড়িয়ে যাবে। অ্যান্ড চিটাগাং উইল বিকাম বেসিক্যালি দি, দি ট্রু কমার্শিয়াল হাব। যেটা আমরা সবসময় বলে আসছি যে, ঢাকা হচ্ছে গিয়ে পলিটিক্যাল ক্যাপিটাল, ঢাকা হচ্ছে গিয়ে আমাদের ফাইনান্সিয়াল ক্যাপিটাল। বাট আমাদের কমার্শিয়াল ক্যাপিটাল যেটা, সেটা হবে চট্টগ্রাম এবং এই ট্রেডের কারণেই হবে।
বাংলাদেশকে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি হিসেবে দেখতে চান প্রধান উপদেষ্টা : চট্টগ্রাম বন্দর ও বিদেশি বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে গ্লোবাল ফ্যাক্টরি হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেন, দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিই প্রধান উপদেষ্টার মূল লক্ষ্য। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ড. ইউনূস চট্টগ্রাম পোর্ট নিয়ে অনেকদিন ধরে লিখছেন। আমি উনাকে ৯ মাসে যা দেখেছি, তাতে একটা জিনিস বলতে পারি, উনার চেয়ে প্রো–বিজনেস হেড অফ গভর্মেন্ট আর আসেনি। তিনি বলেন, আমরা যখন দাভোসে গিয়েছি, উনি (ড. ইউনূস) একদিনে ২৩টি মিটিং করেছেন। ওনার মূল ফোকাস, কীভাবে বাংলাদেশে বিজনেস আনা যায়। ওনার মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশে কীভাবে বিজনেস ও কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়। তিনি আরও বলেন, উনি নিউইয়র্কে গিয়েছেন, চারদিনে ৫১টি মিটিং করেছেন। আমি যেখানে দেখেছি, প্রফেসর ইউনূস বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উনার চিন্তা হচ্ছে, কীভাবে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়। প্রেস সচিব বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে সবাই চলে যাচ্ছে বিদেশে। যারা এখানে একটা কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। বিদেশে চাকরি ছাড়া কেউ থাকছে না। আমরা চাই, তারা যে টাকাটা বেশি বেশি ইনকাম করে, তারা এখানে বসে করুক। শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যত মিটিং করেছেন, এর মধ্যে দুই ডজন মিটিংয়ে উনাকে বিদেশিরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, না হলে বড় বিনিয়োগ আসবে না। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে উনার অনেক বড় স্বপ্ন। শফিকুল আলম আরও বলেন, আমার এখানে কথা বলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনেকের ভুল তথ্য দেখছি। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরকে দিলে অনেকে বলছেন, জব চলে যাবে। আমি বলছি, জব যাবে না, বরং আরও ১০ গুণ বাড়বে। যে যেখানে জব করছেন, তার চেয়ে আরও দশ গুণ জব বাড়বে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য সরবরাহ আরো দ্রুত সময়ে দিতে হবে যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরকে পর্যাপ্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন ও সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উপর দেশের উন্নয়ন নির্ভর করছে। বন্দর ভবিষ্যত উন্নয়নের হাব। এখানে সুযোগ–সুবিধা বাড়োনো গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। বিনিয়োগ বাড়বে। দেশ এগিয়ে যাবে। এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, জামায়াতে ইসলামী নগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, নগর বিএনপির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মেট্টোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, পিএইচপি ফ্যামিলি চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, সিডিএ চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিমসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।