বে-ক্রুজে মারধরের প্রতিবাদে চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ৪ দফা

ক্যাম্পাসে মানববন্ধন

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বেক্রুজ ১ জাহাজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা। এতে অর্থনীতি বিভাগ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চার দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিসমূহ হলো, এই ঘটনার সাথে জড়িত জাহাজের স্টাফ সন্ত্রাস বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। বেক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের

লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। বেক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের মিথ্যা ও বানোয়াট স্টেটমেন্ট প্রত্যাহারপূর্বক লিখিত মুচলেকা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানমালের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

মানববন্ধনে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা বলেন, ওখানে আমাদের কোনো ভুল ছিল না। আমরা কোনো ঝামেলা তৈরি করতে চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের বুকিং দেয়া সিটে আমাদের সবাই না বসলেও অন্তত যাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল তাদেরকে সিটে বসাতে। সেখানে আমাদের ওপর বে ক্রুজ১ জাহাজের স্টাফ ও স্থানীয় লোকজন মিলে দুই দফায় হামলা করে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেন, দেশের কোনো নাগরিকই এ ধরনের ঘটনা আশা করে না। আমরা আজকের এই মানববন্ধন থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।বে ক্রুজ১ জাহাজের সবধরণের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে এটা আজকের মানববন্ধনের মূল দাবি।

টেকনাফে মারধরের শিকার হওয়া অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, আমরা সেখানে কোনো প্রকার ঝামেলা করতে যাইনি। বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঝামেলা তৈরি হওয়ার পরও আমরা চাচ্ছিলাম যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর পর পর দুইবার অতর্কিত হামলা করা হয়।

মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হোসাইন, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন মজুমদার, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. তারিকুল হাসান চৌধুরী, প্রফেসর ড. . এইচ. এম. সেলিমুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক মল্লিকা রায়, সহকারী অধ্যাপক ফজলে রাব্বি চৌধুরী, প্রভাষক খালেদা বেগম মাইফুল ও ফাতেমা আক্তার হিরামনি।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট ও টেকনাফ জেটিঘাটে পরপর দুই দফা জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয় লোকদের হাতে হামলার শিকার হন চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকশিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি শিক্ষার্থীদের মারধরে টেকনাফে মামলা, তিন নম্বর আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরমজানে ব্যাংক লেনদেন সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা