বেসরকারি হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসার দায় সরকারের নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২৮ জুন, ২০২৪ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার দায় সরকারের নয়। সম্প্রতি ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষোদগার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ ‘হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত ‘আমি প্রীতিলতা’ নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রকাশক সফিক রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় রিজভী সাহেবও ফখরুল সাহেবের মতো কেঁদেছেন কিনা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।

এ সময় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকাকলকাতা, খুলনাকলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।

ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে আরও যাচাইবাছাই প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি বেলজিয়ামে নিজের পিএইচডি অর্জনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোট ঘিরে আওয়ামী লীগের আয়ে উল্লম্ফন
পরবর্তী নিবন্ধতুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি, আনসার সদস্যসহ আহত ৩