বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার শতভাগ ঝুঁকিভাতা ও সকল কর্মীদের দ্রুত ঠিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। গতকাল বিকেলে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় বক্তারা একথা বলেন। দারুল ফজল মার্কেটস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেকার কামাল খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইফতেকার বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে আয়া মাসীদের মাসে তিন চার হাজার টাকায় কাজ করতে হয়। তারা বেঁচে থাকার তাগিদে ওভারটাইম ভাতা ছাড়া ১৬ ঘণ্টায় ২ শিফটে কাজ করে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন। প্যাথলজি টেকনেশিয়ান, টেকনোলজিস্ট, নার্স, এঙ-রে কর্মচারীরা রেডিয়েশন ও সংক্রমক ব্যাধির ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। কিন্তু তাদের মজুরি ও বেতন দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। করোনায় বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের মুনাফা দিন দিন বাড়লেও কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধি করতে তারা রাজি নয়। শ্রম আইন অনুযায়ী বোনাস, কেন্টিন, গ্রুপ বীমা, নৈমিত্তিক ছুটিসহ কোন ধরণের ছুটি এই সেক্টরে দেওয়া হয় না। একদিন কাজ না করলে দুইদিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়। এসব অন্যায় শ্রম আইন বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, জামসেদ আলম, বিপ্লব চক্রবর্তী, মো. রিফাত, ইয়াছিন আরাফাতসহ বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংগঠনের কর্মীরা। বিজ্ঞপ্তি