মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে বেসরকারি স্কুলে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গতকাল সোমবার এ নীতিমালা প্রকাশ করে বলেছে, আগের মত এবারও ঢাকাসহ সারা দেশের ভর্তি প্রক্রিয়া সারা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে। ভর্তি ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি আদায় করলে এমপিও বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে নির্দেশনায়। খবর বিডিনিউজের।
সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি বাবদ মফস্বল এলাকায় সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকা, উপজেলা সদরের পৌর এলাকায় ১০০০ টাকা, জেলা সদরের পৌর এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। ঢাকা মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হবে ৫৫ জন। জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। উদাহরণ তুলে ধরে নীতিমালা জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সময় কোনো শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ৫ বছর। অর্থাৎ তার জন্ম হতে হবে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে।
আর সর্বোচ্চ বয়স হতে পারবে ৭ বছর। অর্থাৎ, তার জন্ম হতে হবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণির নিয়মের ধারাবাহিকতায় নির্ধারিত হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের তারিখ ও সময় কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রিক্িরয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।