নাসার জন্য হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস তবে স্পেসএক্সের জন্য বিজয়রথ হয়েই থাকবে গতকাল সোমবার সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করা নাসা’র ক্রু-১ মিশন। নাসার নিজস্ব শাটলযান যুগ শেষ হওয়ার পর কোন প্রতিষ্ঠানের নভোযান নাসা নভোচারী বহন করে তা নিয়ে উদ্যোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল প্রতিযোগিতা। প্লেন নির্মাতা বোয়িং, অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, ভার্জিন গ্রুপ প্রধান স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিককে পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত সেই অর্জন পৌঁছলো ইলন মাস্কের স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিসের হাতে-সংক্ষেপে যে প্রতিষ্ঠানটি স্পেসএক্স নামে পরিচিত। প্রায় তিন দশক ধরে নাসা নিজস্ব শাটল যান ব্যবহার করেছে মহাশূন্যে অভিযান পরিচালনায়। এরপর নাসাকে দ্বারস্থ হতে হয়েছে চীর প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার কাছে, তাদের সয়ুজ যান ব্যবহারের জন্য। খবর বিডিনিউজের।
সোমবার স্পেসএক্সের মহাকাশযাপনে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন চার নভোচারী। এবারই প্রথমবারের মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মহাকাশযানের মাধ্যমে মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর মিশন পরিচালনা করল নাসা। স্পসএক্সের নতুন নকশা করা ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ‘রেজিলিয়েন্স’ নভোচারী নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের ‘কেনেডি স্পেস সেন্টার’ থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে বাংলাদেশ সময় হিসেবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের আধ ঘণ্টা পর নভোচারী মাইক হপকিন্স ক্রু ড্রাগন ককপিট থেকে পৃথিবীর কন্ট্রোল রুমকে বলেন, “অবস্মিরণীয় একটি সফর ছিল।”