বেসরকারি খাতের জন্য ১০ লাখ টিকা আনতে চায় বেক্সিমকো

| শনিবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২০ at ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ওষুধ কোম্পানিসহ বেসরকারি খাতের কর্মীদের মধ্যে বিতরণের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আনার কথা ভাবছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা তৈরি করছে সেরাম। বাংলাদেশে সেরামের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো। সরকার এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে সেরাম ও বেক্সিমকোর সঙ্গে এর মধ্যে চুক্তি করেছে। খবর বিডিনিউজের।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, এই তিন কোটির বাইরেও বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রির জন্য আরও ১০ লাখ ডোজ আনার বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব আমরা আনার চিন্তা করছি বিজনেস সেক্টরে যারা ফ্রন্ট লাইনার… বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালসকে আমরা প্রায়োরিটি দেব। এছাড়া ব্যাংক, অন্যান্য করপোরেট হাউজে যারা কাজ করছেন তাদের দেওয়া হবে। বেসরকারি এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিন কর্মস্থলে যাচ্ছেন। তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের জন্য।
তিনি বলেন, ভারতে এই টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হচ্ছে বলে সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে। ভারতে টিকা জানুয়ারি নাগাদ অনুমোদন পেতে পারে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে বেক্সিমকো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে টিকা আমদানির আবেদন করবে। এখনও তো কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার অনুমোদন পেলে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করব। পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর। প্রতি ডোজ টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে বেক্সিমকো ফার্মা দেবে ৮ ডলার। এর সঙ্গে আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রতি ডোজ টিকার দাম ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাব্বুর রেজা। আমদানির অনুমোদন পেলে আমরা ডিজিডিএর প্রাইসিং পলিসি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই করোনাভাইরাস টিকা এখন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বছরই তার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও এসএআরসি-সিওভি-২ এজেডডি ১২২ নামের ওই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। এই টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে আংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের।
সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’। তবে এই টিকা আনার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে হবে বলে সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধড. আবু ইউসুফ নাগরিক স্মরণসভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধসুজনের সঙ্গে ফিল্ড ওয়ার্কার্স এসো’র সভাপতির সাক্ষাৎ