ট্যাক্সি অথবা সিএনজি মধ্যবিত্ত জনসাধারণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা। সকাল থেকে রাত অবধি অফিস–আদালত, স্কুল–কলেজ, হাসপাতাল, সামাজিক কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেখানেই যাই না কেন এই ত্রিচক্রযানের উপরই মধ্যবিত্তদের নির্ভর করতে হয়। ইদানীং লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সারা শহর যেন সিএনজি বা অটোরিকশায় সয়লাব হয়ে গেছে। মাত্রাতিরিক্ত এই সিএনজির সাথে যোগ হয়েছে উবার, পাঠাও নামের মোটরসাইকেল। অস্বাভাবিক গতিতে ছুটে চলছে এই সিএনজি অটোরিকশা, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া এই ছুটে চলা যেন কেউই থামাতে পারছে না। রাস্তা পুরোটাই যেন দখল করে নিয়েছে এইসব সিএনজি এবং মোটরসাইকেলগুলো। মানছেন না নিয়ম কানুন কিংবা ট্রাফিক আইন। চোখের সামনেই দেখতে হচ্ছে একটির পর একটি দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দিয়ে অফিসে যাচ্ছিলাম। আমাকে ওভারটেক করে সর্পিল গতিতে ছুটে চলল দুটি হোন্ডা। মাঝপথে যেতে না যেতেই ছিটকে পরলো একটি হোন্ডা। চোখের সামনে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রাণ সংশয় নিয়ে কেন এই ছুটে চলা?
একটি ঘটনা না বললেই নয়। সেদিন ছিল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর)। যথারীতি অফিসে যাচ্ছিলাম। সেই আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার। জিইসির কাছের ঢালু লুপটা অনেকটা চাপানো। প্রাইভেট কারগুলো সারিবদ্ধ ভাবেই চলছিল। হঠাৎ পিছন থেকে একটি সিএনজি এসে সামনের প্রাইভেট কারটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে এমনভাবে লাগিয়ে দিল প্রাইভেটকারটির পিছন দরজা থেকে ধরে সামনের দরজা পর্যন্ত আঁচড় দিয়ে চলে গেল। প্রাইভেটকারটি ছিল বেশ নতুন ১৪ সিরিয়ালের। সিএনজিটা পাকড়াও করলে দেখা গেল যে আরো কতগুলো সিএনজি ড্রাইভার মুহূর্তেই এসে জড়ো হল এবং এমনভাবে ঘিরে ধরল যেন সমস্ত দোষ ওই প্রাইভেট কারটির। মনে হল এরা সবাই সঙ্ঘবদ্ধ সেখানে প্রাইভেট কারের মালিক যেন সম্পূর্ণরূপে অসহায়। এমন দৃশ্য যে শুধু আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে তা নয় শহরের প্রতিটি রাস্তায় ঘটছে এরকম দুর্ঘটনা। দেখার বা বলার যেন কেউ নেই। তবে কি এদের সচেতন করার কেউই নেই? এদের লাইসেন্সগুলি–ই–বা কিভাবে দেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার কি কেউই নেই? সিএনজিতে এই স্টিল বাপ্পার লাগানোর যৌক্তিকতাটাই বা কতটুকু? বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।