বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ, প্রাথমিক শিক্ষকদের কেউ খুশি কেউ অখুশি

| মঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম ও ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে ২০১৪ সাল থেকে সব প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতনের সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে এ উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের যুগ্মসচিব রেবেকা সুলতানা গতকাল সোমবার বলেন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ও আদালতের রায় অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। প্রস্তাব পাওয়ার পর তা প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।

গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৪ সাল থেকে দশম গ্রেড দাবি : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির একাংশের সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, দীর্ঘ সময় আইনি লড়াই শেষে আপিল বিভাগ আমাদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ওই রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা চাই সব প্রধান শিক্ষককে যেন ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে দশম গ্রেডের বেতন সুবিধা দেওয়া হোক। সমিতির অপরাংশের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট, তবে আমরা উপদেষ্টা, সচিব ও ডিজি মহোদয়ের কাছে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের বেতন সুবিধা দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

সহকারী শিক্ষকরা চান ১১তম গ্রেড : যদিও বেতন বাড়িয়ে ১২তম গ্রেড করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। তারা পরামর্শক কমিটির সুপারিশ সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মবিরতির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল্লাহর বিধান মেনে চললে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা পাওয়া যাবে
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন, চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ