বেতন না দিয়ে মালিক উধাও সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ মার্চ, ২০২১ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

হঠাৎ করে লে-অফ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) পোশাক কারখানা পদ্মা ওয়্যার লিমিটেডের হাজারো শ্রমিক। বেতন বকেয়া রেখে কারখানা বন্ধ করার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর জামালখান প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। এদিকে পদ্মা ওয়্যারের চেয়ারম্যান নিছার উদ্দিন সোহাগের সাথে সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি।
আবুল হোসেন নামের এক শ্রমিক বলেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে কারখানা লে অফ করা যায় না। প্রায় শ্রমিকের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া আছে। অল্প কিছুসংখ্যক শ্রমিক জানুয়ারি মাসের বেতন পেয়েছেন। কারখানায় প্রায় এক হাজার ৪০০ জন শ্রমিক কাজ করতো। সবার ওভারটাইমও বকেয়া আছে। আমরা আজ (গতকাল) সকালে কারখানায় গিয়ে দেখি ৪৫ দিনের জন্য লে-অফের নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। বেতন ভাতার বিষয়ে গত এক মাস ধরে চেষ্টা করেও মালিকের সাথে সাক্ষাত করতে পারিনি। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, বেতন বকেয়া রাখার প্রতিবাদে সিইপিজেড এলাকার একটি গার্মেন্টেসের শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তবে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।
সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মশিউদ্দিন মেজবাহ বলেন, পদ্মা ওয়্যার লিমিটেড অনেক পুরনো কারখানা। তবে কারখানাটির মালিকানা চার পাঁচবারের মতো পরিবর্তন হয়েছে। শ্রমিকের বেতন বকেয়া রেখে কারখানা মালিক ৪৫ দিনের জন্য লে অফ ঘোষণা করে পালিয়ে গেছেন এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, বেতন বকেয়ার প্রতিবাদে শ্র্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এখন আমাদের কাছে দুটো অপশন আছে। হয়ত মালিককে যে কোনোভাবে খুঁজে বের করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। অথবা লে অফ ঘোষিত কারখানা সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনারা জানেন সরকারি নিলাম একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তারপরেও আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩ লাখ ছাড়াল চট্টগ্রামে করোনা টিকাগ্রহীতার সংখ্যা
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ সপ্তাহ পর ফের ৬০০ ছাড়াল করোনা রোগী